বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) উন্নয়নে ৬৫৯ কোটি টাকার কাজ ঠিকমতো করতে না পারায় ফেরত গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান মন্টুর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সরকার সমর্থক গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের একাংশ। সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক ক্যাফেটেরিয়ায় সংবাদ সন্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়।
আটটি অভিযোগের মধ্যে রয়েছে ডিপিপি বাস্তায়নে ব্যার্থতা, অনুপ্রবেশকারী অযোগ্য ব্যক্তিদের দিয়ে প্রশাসন পরিচালনা, নিয়মিত অফিস না করা, এপিপি বাস্তবায়নে পশ্চাদপদতা।
সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম একাংশের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. পুর্বা ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন সভাপতি অধ্যাপক ড. এম এ এম ইয়াহিয়া খন্দকার, অধ্যাপক ড. মুন্জুরুল আলম চম্পক, অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক, অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, এবং অনুষদের প্রধানরা।
পুর্বা ইসলাম বলেন, এসব বিষয়ে আমরা দীর্ঘদিন অবিভক্ত ফোরামে আলোচনা করে কোনো ফল পাইনি। পরে আমাদের নিবৃত করতে উপাচার্য ফোরামকেই দুইভাগে বিভক্ত করে ফেলেন। পরে গতবছর এপ্রিল মাসে আমরা আলাদা ফোরাম করে আন্দোলন করছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে ৬৫৯ কোটি টাকার কাজ করতে না পারায় ফেরত গেছে। অথচ শিকৃবি, বকৃবি, জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় দফার অর্থ বরাদ্দ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটালাইজেশনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অনেক পেছনে রয়েছে। উপাচার্য বাসভবন ছাড়াও একটি বাসা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন, বাসা বরাদ্দের ক্ষেত্রেও অনিয়ম করছেন, নিয়োগে অনিয়ম করেছেন। এছাড়া অবিভক্ত ফোরামেও এসব নিয়ে আলোচনা করায় ফোরামের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল করতে বিভক্ত করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।