বাধ্যতামূলক অবসরে চবি শিক্ষককে মামলায় ফাঁসানো সেই ওসি - দৈনিকশিক্ষা

বাধ্যতামূলক অবসরে চবি শিক্ষককে মামলায় ফাঁসানো সেই ওসি

দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. তারেক চৌধুরীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর সঙ্গে জড়িত সেই ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

গত ২৩ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের সই এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানা যায়। একই সঙ্গে পরিদর্শক পদমর্যাদার আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁন চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানায় ওসির দায়িত্বে থাকাকালে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের মে মাসে চবি শিক্ষক তারেক চৌধুরীসহ কয়েকজনকে আসামি করে একটি মামলা রুজু করেছিলেন। যেটি নিয়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। কারণ যে ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি হয়েছিল সেসময় শিক্ষক তারেক চৌধুরী ঘটনাস্থলেই ছিলেন।   কয়েকদিন পর ২০ জুন এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সমালোচনার মুখে মির্জা হাছাঁনকে একই বছরের ২২ জুন প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, একটি পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ইন্ধনে চবি শিক্ষককে ওইসময় আসামি করা হয়েছিল। তবে দাগি মামলায় একজন শিক্ষককে আসামি করা নিয়ে ওই ওসির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। পরে অভিযুক্ত ওসিকে সরানো হয় এবং ওই মামলায় চবি শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল।

তবে কিছুদিন পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত রাখা হলেও সাবেক ভূমিমন্ত্রীর চাপে পুলিশ পরিদর্শক মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁনকে পুনরায় ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের পতন হওয়ার পর অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাছাঁনকে একেবারে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়।

সহকারী অধ্যাপক মো. তারেক চৌধুরী বলেন, মামলায় আনোয়ারা উপজেলার যে ঘটনায় আমাকে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে আসামি করা হয়েছিল, তখন আমি চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করেছিলাম। কিন্তু পুলিশ কর্মকর্তা মির্জা হাছাঁন আমাকে ফাঁসিয়েছিলেন। ওইসময় সহকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। তৎকালীন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে আমাকে প্রতিবেদন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। এখন শুনেছি ওই ওসিকে একেবারে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও শিক্ষার্থীদের - dainik shiksha ঢাকা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ঘেরাও শিক্ষার্থীদের ঘুষকাণ্ডে গণধোলাই খাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা বললেন সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু - dainik shiksha ঘুষকাণ্ডে গণধোলাই খাওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সেই কর্মকর্তা বললেন সব কয়টারে গু*লি কইরা মা*রমু কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক - dainik shiksha কওমি মাদরাসা একটি অসমাপ্ত প্রকাশনার কপিরাইট সত্ত্ব পেলেন লেখক দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে জাবি ছা*ত্রীর মৃত্যু: বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা - dainik shiksha জাবি ছা*ত্রীর মৃত্যু: বিচারের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা পাঁচ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার - dainik shiksha পাঁচ বিসিএসে ১৮ হাজার প্রার্থী নিয়োগ দেবে সরকার পবিপ্রবিতে র‍্যা*গিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহি*স্কার ৭ - dainik shiksha পবিপ্রবিতে র‍্যা*গিংয়ে হাসপাতালে ৩ শিক্ষার্থী, বহি*স্কার ৭ কওমি-আলিয়া মাদ্রাসার ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে - dainik shiksha কওমি-আলিয়া মাদ্রাসার ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0034050941467285