বাড়তি ভাড়া নেয়ার প্রতিবাদ এবং মানহীন সেবার অভিযোগে নরসিংদী বাস টার্মিনাল থেকে ঢাকার গুলিস্তানগামী একমাত্র পরিবহন ‘মেঘালয় লাক্সারি’ বয়কটের ডাক দিয়ে বাস টার্মিনাল ব্লক করেছেন শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত আনুমানিক অর্ধশত শিক্ষার্থী আন্তজেলা বাস টার্মিনাল ব্লক করে রাখেন।
এ সময় টার্মিনাল থেকে কোনও বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি এবং ঢাকা থেকে আসা কোনও বাসকে টার্মিনালে ঢুকতে দেখা যায়নি। এর আগে, গতকাল থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেঘালয় লাক্সারি বয়কটের ডাক দেয় শিক্ষার্থীরা। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকে ফিরে যেতে হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ‘সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুসারে, এক কিলোমিটারে যাত্রীপ্রতি ভাড়া ২ টাকা ১২ পয়সা। সেই হিসাবে, নরসিংদী থেকে ঢাকার দূরত্ব ৫২ কিলোমিটার। নিয়ম অনুযায়ী নরসিংদী থেকে ঢাকার নির্ধারিত ভাড়া যাত্রীপ্রতি প্রায় ১১০ টাকা, অথচ এই পরিবহনটি ভাড়া নিচ্ছে ১৫০ টাকা। টার্মিনালে বিকল্প কোনও পরিবহন না থাকায় দৈনিক কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষের এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।’ এই সিন্ডিকেট না ভাঙলে সড়কে বাড়তি ভাড়া নিয়ে বাস চলতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা।
সাঈদ সনো নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘যাত্রীপ্রতি তারা সিন্ডিকেট করে প্রায় ৪০ টাকার কাছাকাছি বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে৷ সাধারণ শিক্ষার্থীরর এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। মালিকপক্ষ আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে সম্মত হয়েছেন। ভাড়া কমানো না হলে অর্থাৎ আলোচনায় কোনও সমাধান না আসলে আমরা আরও কঠোর হবো।’
নাজমুল ইসলাম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘একদিকে বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে, অপরদিকে কাউন্টার ছাড়াও যাত্রী তুলছে। সাধারণ যাত্রীদের এই ভোগান্তি নিয়মিত ব্যাপার। নিত্যদিনের এই ভোগান্তি থেকে যাত্রীরা পরিত্রাণ চান। ভাড়া কমানোর পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান উন্নত না করলে সড়কে এই পরিবহনকে চলতে দেয়া হবে না। এই পরিবহনের পাশাপাশি অন্য কোনও পরিবহনও যদি একই কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তুলবে শিক্ষার্থীরা।’
এদিকে, কাউন্টারে দেখা যায়নি বাসমালিক কিংবা কার্যকরী কমিটির কাউকে। জেলা বাস মালিক সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনকে ফোন করে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।