দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : বিকৃত সুরে গাওয়া নজরুল সংগীত ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ অনলাইন থেকে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
একটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার ও অ্যাডভোকেট সোলায়মান তুষার।
অস্কারজয়ী ভারতীয় সংগীত পরিচালক এ আর রহমানের নতুন সংগীতায়োজনে কাজী নজরুল ইসলামের গানটি বেশ কিছুদিন ধরে ফেইসবুক, ইউটিউবসহ অনলাইনের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রচার হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট সোলায়মান তুষার সাংবাদিকদের বলেন, মানবাধিকার সংগঠন ‘ল অ্যান্ড লাইভ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট‘এবং সুপ্রিম কোর্টের দশ আইনজীবীর পক্ষে গত ৬ ডিসেম্বর অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হুমায়ন কবির এ রিট আবেদন করেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটকে সেখানে বিবাদী করা হয়।
আবেদনকারীরা হলেন মানবাধিকার সংগঠন ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাঈম সরদার, অ্যাডভোকেট সোলায়মান তুষার, অ্যাডভোকেট মাহদী জামান, অ্যাডভোকেট শেখ মঈনুল করিম, অ্যাডভোকেট আহমেদ ফারজাদ, অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মো. আনাস মিয়া ও অ্যাডভোকেট মো. বাহাউদ্দিন আল ইমরান।
বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘ভাঙার গান‘ বইয়ে ‘কারার ঐ লৌহ কপাট‘ গানটি সংকলিত হয়েছে, যেটি প্রকাশিত হয় ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দে। প্রকাশের পরপর ১৯২৪ খ্রিষ্টাব্দের ১১ নভেম্বর ব্রিটিশ সরকার ভাঙার গান নিষিদ্ধ করে। ভারতের স্বাধীনতার পর ভাঙার গান ফের প্রকাশিত হয়।
আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, গানটি অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেননি।
“কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় কবি। তার গান আমাদের সকল প্রকার বিপ্লব ও আন্দোলনে অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার গান ও কবিতা আমাদের জাতীয় সম্পদ। আমাদের জাতীয় কবি ও তার অমর কবিতার মূল সুর রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থে রিট দায়ের করা হয়েছিল।
“শুনানি শেষে আজ আদালত বিটিআরসিকে এ আর রহমানের বিকৃত সুরে গাওয়া জাতীয় কবির ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।“