অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ সরকারের দায়মুক্তির তামাশা এবং শেখ হাসিনাকে ঘিরে বিচারিক প্রহসন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। আজ সোমবার ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি চাকরিতে কোটা ইস্যুকে কেন্দ্র করে সংঘটিত আন্দোলনে শান্তিপূর্ণ ও আইনি সমাধানের প্রক্রিয়াকে পাশ কাটিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী-মৌলবাদী-দেশবিরোধী সংগঠনের প্রশিক্ষিত ক্যাডার বাহিনী, রাজনৈতিক দুর্বৃত্ত এবং পেশাদার সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে পরিচালিত তাণ্ডবের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে কোন মামলা বা আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না মর্মে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করছে বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ।
আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের নবতর সংস্করণ চালু, কারাগার থেকে অপরাধীদের মুক্তি, বিচার বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপের প্রকৃত উদ্দেশ্য গণতন্ত্রকামী ছাত্রসমাজের কাছে দিবালোকের মত পরিষ্কার হয়ে ফুটে উঠেছে। শেখ হাসিনার সরকার বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটির মাধ্যমে অপরাধীদের চিহ্নিতকরণ এবং জাতিসংঘকে পূর্ণ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছিল। আইনানুগ প্রক্রিয়াকে বন্ধ করার মাধ্যমে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার ‘মেটিকুল্যাসলি প্ল্যানড’ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতে চায়। পঁচাত্তরের ইনডেমনিটি খুনিদের সুরক্ষাকবচ হতে পারেনি, চব্বিশের দায়মুক্তিও খুনিদের সুরক্ষা দিতে পারবে না।
একইসঙ্গে, বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ অবাক বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করছে অসাংবিধানিক, অগণতান্ত্রিক, অবৈধ সরকার কর্তৃক সরাসরি পরিচালিত ও প্রযোজিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার বিচারিক প্রহসনের তামাশা মঞ্চস্থ হতে শুরু করেছে। জনগণের নির্ভরতা ও নিশ্চয়তার প্রিয় ঠিকানা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে ঘিরে কোন ষড়যন্ত্রই বরদাশত করবে না বাংলাদেশের মানুষ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মাধ্যমেই সকল অপচেষ্টা রুখে দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা।