প্রবাসীদের অর্থায়নে পরিচালিত ছাতকের মোগলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে সভা করেছে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক খরচ বহনে অভিভাবক ও পরিচালকদের মতামতের ভিত্তিতে রেজিস্ট্রেশন ফি’র সঙ্গে বাড়তি টাকা নেয়ার বিষয়টিকে কেন্দ্র করে কতিপয় ব্যক্তি অপপ্রচারে লিপ্ত। এতে বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর দাবি।
গত ১লা আগস্ট বিকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতির বক্তব্যে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবদুুল মতিন বলেন, ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত মোগলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার বাসিন্দা যুক্তরাজ্য প্রবাসী আব্দুল গাফফার, মাসুক মিয়া ও আবদুস ছাত্তারের অর্থায়নে বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে। দু’বছর ধরে আবদুুস ছাত্তার বিদ্যালয়ে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দিলে বিদ্যালয়টি কিছুটা অর্থ সংকটে পড়ে। বোর্ড নির্ধারিত ফি ছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের বেতন বা ফি না নিয়েই এ বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলে আসছিল।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হয়। বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করতে সম্প্রতি দাতা ও এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতেই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি’র সঙ্গে আরও ২০০ টাকা করে বাড়তি নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়টিকে পুঁজি করে একটি মহল বিদ্যালয়ের সুনাম নষ্ট করতে মরিয়া হয়ে ওঠে এবং অসত্য তথ্য প্রচার করতে থাকে।
প্রধান শিক্ষক নজবুল হক বলেন, সম্প্রতি প্রবাসী দাতা ও এলাকার অভিভাবকদের সম্মতিতেই সম্প্রতি ৮ম ও ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে রেজিস্ট্রেশন ফি’র সঙ্গে বাড়তি আরও ২০০ টাকা যুক্ত করে ৪৫০ ও ৫০০ টাকা করে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এ হারে মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন ফি দিলেও অনেকেই শুধুমাত্র ‘১৫০ ও ২০০ টাকা করে দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছে।
ফি কম বেশির জন্য কোনো শিক্ষার্থীকেই তিনি ফিরিয়ে দেননি। কিন্তু এ বিষয়টি কেন্দ্র করে একটি মহল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদ বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ইমান আলী, প্রবাসী দাতাদের নিয়োজিত কোষাধ্যক্ষ আব্দুল বারী, এডহক কমিটির সদস্য আরজু মিয়া, অভিভাবক আব্দুল করিম, মঈন উদ্দিন, আরিজ মিয়া, রশিক মিয়া, ওয়ারিছ আলী, ওয়াহাব আলী, সমুজ মিয়া, ওসাব আলী প্রমুখ।