শনিবার রুশ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে রাশিয়ান ভাড়াটে সৈন্যদের দল ওয়াগনার। দলটির প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহের সময় মস্কো অভিমুখে যাত্রার সময় রাশিয়ার দুটি শহর নিয়ন্ত্রণে নেয় তারা।
তবে রক্তপাত এড়াতে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় বিদ্রোহ অবসানে রাজি হয় দলটি। মামলা প্রত্যাহার ও বেলারুশে চলে যাওয়ার শর্তে এ বিদ্রোহের অবসান করেন প্রিগোজিন।
তবে বিদ্রোহের পর ১১ মিনিটের একটি দীর্ঘ অডিও বিবৃতি দিয়েছেন ওয়াগনার প্রধান প্রিগোজিন। ওয়াগনারের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার রুশ পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়াই ছিলো এ বিদ্রোহ বলে জানান তিনি। সোমবার তার এই অডিও বার্তা প্রকাশ করে টেলিগ্রাম।
মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, জুন মাসে রাশিয়া ওয়াগনারসহ স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনগুলিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে বলা হয় তা ওয়াগনারের উপর রুশ কর্তৃত্ব বা দখলের হুমকি হিসাবে মনে করেন তিনি।
ওয়াগনার প্রধান জানান, যে তার বিদ্রোহ ইউক্রেনের সাথে যুদ্ধের সময় তার দলের সাথে করা প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ভুলের প্রতিবাদ ছিল। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যে ওয়াগনার সবসময় শুধুমাত্র রাশিয়ার স্বার্থে কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন যে কেবলমাত্র রাশিয়ান সৈন্যদের রক্তপাত বন্ধ করতেই বিদ্রোহের অবসান করেছেন তিনি। কিন্তু রুশ সরকার উৎখাত করার কোনো ইচ্ছা তার নেই বলে অডিও বার্তায় জানান প্রিগোজিন।
এ সময় প্রিগোজিন স্বীকার করেন যে তার মার্চের ফলে কিছু রাশিয়ান সৈন্য মারা গিয়েছিল যখন তার সৈন্যরা আক্রমণকারী হেলিকপ্টারকে গুলি করে ভূপাতিত করে।
এ সময় দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন যে, "আমরা দুঃখিত যে আমাদের বিমানটিকে আঘাত করতে হয়েছিল, কিন্তু তারা আমাদের বোমা এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত করেছিল।"
বিদ্রোহ অবসানের পর এটি ছিল প্রিগোজিনের প্রথম জনসাধারণের সামনে তুলে ধরা মন্তব্য। তবে এই অডিও বার্তায় এটা স্পষ্ট করা যায়নি যে তিনি এখন কথায় আছেন বা কি করছেন।