গাজীপুরের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, কবি ও প্রাবন্ধিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল ইসলাম মারা গেছেন। শনিবার ভোরে বার্ধক্যজনিক কারণে নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বহুমুখী প্রতিভার কারণে তাকে ভাওয়ালরত্ন উপাধি দেয়া হয়।
নূরুল ইসলাম ১৯৩৩ খ্রিষ্টাব্দে গাজীপুর সদরের মৈরান গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক।
তিনি অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রী, গুণগ্রাহী ও আত্মীয়স্বজন রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গাজীপুরের সর্বমহলে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ অনেক ক্ষেত্রে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন।
নূরুল ইসলাম প্রায় ৬০ বছর শিক্ষকতা করেন। দীর্ঘদিন তিনি গাজীপুরের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাণী বিলাসমনি সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। দুবার অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
বর্তমান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মরহুম সাদেক হোসেন খোকা, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম রহমত আলী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মরহুম অধ্যাপক এমএ মান্নান, ইকবাল হোসেন সবুজ, সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব আনোয়ারুল ইসলামসহ অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তি তার ছাত্র।
শনিবার সকালে তার প্রথম জানাজা মহানগরীর ধীরাশ্রমে এবং আছরের পর শহরের রাজবাড়ি মাঠে জানাজা শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে সিটি গোরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, সাবেক সচিব এমএম নিয়াজ উদ্দিনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।