পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা আনতে একটি অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। আগামী ১ জুলাই থেকে এ নীতিমালা কার্যকর হবে। এ নীতিমালাকে ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও অনিয়ম, ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং ফাইনান্সিয়াল ম্যানুয়াল’ বলে আখ্যায়িত করেছেন ইউজিসি সংশ্লিষ্টরা।
ওই নীতিমালা প্রস্তত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। কমিশনের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ইউজিসি অডিটরিয়ামে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্থিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত ও অনিয়ম ও ত্রুটি-বিচ্যুতি চিহ্নিতকরণে অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং ফাইনান্সিয়াল ম্যানুয়াল প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী ১ জুলাই থেকে এ নীতিমালা কার্যকর করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব অংশ নেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে ছিলেন। অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. অনুপম সেন আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছে, যা পৃথিবীর অনেক দেশের মোট জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। এ বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে আধুনিক শ্রমবাজার উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দেশে বর্তমানে পাবলিক ও প্রাইভেট ব্যবস্থাপনায় ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক বিষয়ে স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কমিশনের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ইউজিসির কাঠামো, আইনি ও জনবল আজকের ১৬৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ করতে পর্যাপ্ত নয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইউজিসির সক্ষমতা, দক্ষতা এবং আইনি ক্ষমতা দেয়া এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণ একান্ত প্রয়োজন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ইউজিসি সদস্য ও সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠান বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের। ইউজিসির বর্তমান ও সাবেক সদস্যরা, পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী অনুষ্ঠানে অংশ নেন।