দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাংকিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য নিয়মিত প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। এসব তথ্য ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদনে যুক্ত করারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বুধবার বার্ষিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা বিষয়ে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন এ আহ্বান জানান। ইউজিসিতে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় দেশের ৫৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও বার্ষিক প্রতিবেদন ফোকাল পয়েন্টরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট পর্যালোচনা ও বার্ষিক প্রতিবেদনের তথ্যের মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যাংকিং করে থাকে। এজন্য বার্ষিক প্রতিবেদন তথ্যসমৃদ্ধ ও নিয়মিত হালনাগাদ করা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট স্মার্ট করার পরামর্শ দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা ও স্মার্ট বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে ইউজিসি কাজ করছে বলেও তিনি জানান।
প্রফেসর সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ইউজিসির বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদ, রাষ্ট্রপতি, সরকার ও দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সংস্থায় পাঠানো হয়। এজন্য বার্ষিক প্রতিবেদন যথাসময়ে ও নির্ভুলভাবে প্রকাশ করা প্রয়োজন। একাজে সংশ্লিষ্টদের আরো আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসি গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বার্ষিক প্রতিবেদন ও তথ্য ছক পূরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন ইউজিসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ও বিশ্বনাথ বিশ্বাস।
ইউজিসি আইন ১৯৭৩ অনুসারে বার্ষিক প্রতিবেদন জাতীয় সংসদে উপস্থাপনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রতিবছর ইউজিসি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পেশ করে।