ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি নিয়ে মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। গুজরাট হাইকোর্টে তিনি আবেদনে বলেছেন, গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট অথবা অন্য কোথাও প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রির হদিস পাওয়া যায়নি।
আবেদনটি গ্রহণ করেছেন গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি বীরেন বৈষ্ণব। এ বিষয়ে গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় সরকার, মুখ্য তথ্য কমিশনার ও সাবেক তথ্য কমিশনার এম শ্রীধর আচার্যুলুকে তিনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি হবে ৩০ জুন।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, কেজরিওয়াল আবেদনে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও তাদের হয়ে আদালতে উপস্থিত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেছিলেন, ডিগ্রির প্রতিলিপি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটসহ অন্যত্র রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি রায় দিয়েছিলেন। সে রায়ের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে কোথাও প্রধানমন্ত্রীর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এর বদলে একটি ‘অফিস রেজিস্ট্রার’ রাখা হয়েছে। এটি ও ডিগ্রি এক হতে পারে না। মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রায় যেন বলবৎ করা না হয় বলে কেজরিওয়াল আবেদনে দাবি জানিয়েছেন।
গত মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি দাখিল করতে মুখ্য তথ্য কমিশনারের নির্দেশ খারিজ করে দিয়েছিলেন গুজরাট হাইকোর্ট। মামলার কারণে কেজরিওয়ালের ২৫ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয়েছিল।
রায়ের পর কেজরিওয়াল রাজনৈতিকভাবে বিষয়টির মোকাবিলা করেন। তিনি বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডিগ্রি থাকলে তা প্রকাশে এত আপত্তি কেন? দেশের ও নিজের সম্মানের স্বার্থেও প্রধানমন্ত্রীর উচিত ডিগ্রি-সম্পর্কিত কৌতূহল নিরসন করা।
নরেন্দ্র মোদির দাবি, তিনি গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক পাস করেন। স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পান ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।