বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে যশোর ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক সুদীপ্ত হাসান দ্বীপ্তকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। আটক দ্বীপ্ত যশোর শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া ঢাকা রোড এলাকার তৈমুর হোসেনের ছেলে।
বৃহস্পতিবার আটক দ্বীপ্তকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার এসআই শরীফ আল মামুন।
বাদী পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। ছয় বছর আগে ফেসবুকের মাধ্যমে ডাক্তার সুদীপ্ত হাসানের সঙ্গে পরিচয়।
একপর্যায়ে বাদীকে তিনি বিয়ের প্রস্তাব দেন। এরই মধ্যে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ মে সন্ধ্যা ৭টার দিকে সুদীপ্ত তার ভাড়া বাসায় বাদীকে ডেকে নিয়ে যান।
সেখানে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে রাঙামাটি জেলার সাজেক ভ্যালিতে ও রুই লুই কুইন রিসোর্টে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
এই বিষয়গুলো সুদীপ্তের বাবা তৈমুর হোসেন ও মা শামীমা আক্তার ছায়াকে জানানো হলে তারা বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন।
যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ডাক্তার সুদীপ্তকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।