বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও শিক্ষকদের গবেষণা কর্ম, শিক্ষাদানের দক্ষতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার, শ্রেণিকক্ষে ও ল্যাবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে একটি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং প্রথা চালু করা আবশ্যক। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই। ইউজিসির কাছে এ ধরনের তালিকা থাকলে এসব পদে নিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে, যোগ্য শিক্ষাবিদরা যথাস্থানে আসীন হবেন, শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নত হবে, আন্তর্জাতিক সূচিতেও অবস্থান আরও এগিয়ে আসবে দেশের বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পারফরমেন্স নিয়ে নিয়মিতভাবে র্যাঙ্কিং তালিকা প্রকাশ করছে বিভিন্ন গবেষণা সংস্থা।মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লিখেছেন ড. এম. মেসবাহউদ্দিন সরকার।
বিশ্বব্যাপী সর্বাধিক সমাদৃত এমন তিনটি সংস্থা হচ্ছেÑ ১. কিউএস- ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি রাঙ্কিং ২. টিএইচই-টাইমস হায়ার এডুকেশন এবং ৩. এআরডব্লিউইউ -একাডেমিক র্যাঙ্কিং অব ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিজ। সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিং বিশেষজ্ঞ দল (ওজঊএ)-এর অনুমোদনপ্রাপ্ত এবং সকলে যৌথভাবেই ২০০৯ সাল পর্যন্ত র্যাঙ্কিং করে এসেছিল। কিন্তু নিজেদের স্বতন্ত্রতা ও বিজনেস পলিসির কারণে ২০১০ সাল থেকে কিউএস আলাদাভাবে যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টিএইচই থেকে আলাদা হয়ে কাজ করছে।
সম্প্রতি (গত ২২ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে টিএইচই ‘ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং-২০২৪’ প্রকাশ করেছে। এ তালিকায় বিশ্বের সেরা ৮০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের ২৪টি ও পাকিস্তানের ৮টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এই ৮০০’র মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। তবে বিশ্বের সেরা এক হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে দেশের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এগুলো হলোÑ ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। এছাড়াও ১২০১ থেকে ১৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছরের টাইমস হায়ার এডুকেশনের র্যাঙ্কিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০ এর মধ্যে।
সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থানে স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থানে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি)। এরপরই হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়; কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়; প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়; ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি; ইম্পেরিয়াল কলেজ, লন্ডন; ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে; ইয়েল ইউনিভার্সিটি। ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের অবস্থান তালিকার ২০১-২৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে। ভারতের সেরা অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া, মহাত্মা গান্ধী ইউনিভার্সিটি, আলাগাপ্পা ইউনিভার্সিটি, আলীগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি, বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি, ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি।
র্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আছে কায়েদ-এ-আজম ইউনিভার্সিটি, আবদুল ওয়ালী খান ইউনিভার্সিটি, এয়ার ইউনিভার্সিটি। র্যাঙ্কিংয়ে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শীর্ষে আছে চীনের সিংহুয়া ও পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। এশিয়ার সেরা দশের মধ্যে চীনের চারটি, হংকংয়ের তিনটি, সিঙ্গাপুরের দুটি ও জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। উল্লেখ্য, শিক্ষা, গবেষণা, সাইটেশন, শিল্প থেকে আয় এবং আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সংশ্লিষ্ট ১৩টি নির্দেশনার ওপর ভিত্তি করে এ তালিকা হয়েছে।
বিভিন্ন মূল্যায়ন সূচকে টাইমস হায়ার এডুকেশন বিশ্বের ১০৪টি দেশের ১ হাজার ৯০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ তালিকা প্রকাশ করে থাকে। সূচকগুলো হলোÑ ১. শিক্ষাদান (টিচিং), ২. গবেষণা (রিসার্চ), ৩. গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশন), ৪. আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক) এবং ৫. ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম (শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়)। শিক্ষাদান সূচকটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান, শিক্ষক অনুপাতে শিক্ষার্থীর হার, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীর আসন ব্যবস্থা, ল্যাবে আধুনিক যন্ত্রপাতির সুবিধা ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়া হয়। দ্বিতীয় সূচক গবেষণায় দেখা হয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের খ্যাতি-জরিপ, গবেষণা থেকে আয় এবং গবেষণার সংখ্যা ও মান। গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি সূচক হলো গবেষণা-উদ্ধৃতি।
এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত কাজ (আন্তর্জাতিক জার্নালে গবেষণা) বিশ্বব্যাপী গবেষকরা কতবার উদ্ধৃত করছেন, তা বিবেচনায় নেওয়া হয়। আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-কর্মীর অনুপাত হিসাব করা হয়। ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও পরামর্শের মাধ্যমে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকে সহযোগিতার সক্ষমতা দেখা হয়। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা গবেষণায় অনুদান দিতে কতটা উৎসাহী এবং উদ্ভাবিত সেই গবেষণা বাণিজ্যিক বাজারে কতটুকু সক্ষম, তা বিবেচনায় আনা হয়। সর্বমোট ১০০ নম্বরের মধ্যে এই সূচক তৈরি হয়।
তবে কিউএস সিস্টেমে ১০০ নম্বরের এই বণ্টনে তিনটি অংশ রয়েছেÑ ১. বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক র্যাঙ্কিং, ২. বিষয়ের র্যাঙ্কিং (৫১টি বিভিন্ন বিষয় এবং পাঁচটি যৌগিক অনুষদ) এবং ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান (এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, আমেরিকা, ইউরোপের এবং মধ্য এশিয়ার আরব অঞ্চল এবং ব্রিকস)। কিউএস সিস্টেমে ১০০ নম্বরের এই বণ্টনে উপরোক্ত পদ্ধতির পাশাপাশি আরও তিনটি বিষয় বিবেচনা করে। সেগুলো হলোÑ ১. বিশ্বব্যাপী সামগ্রিক র্যাঙ্কিং, ২. বিষয়ের র্যাঙ্কিং (৫১টি বিভিন্ন বিষয় এবং পাঁচটি যৌগিক অনুষদ) এবং ৩. বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌগোলিক অবস্থান (এশিয়া, লাতিন আমেরিকা, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ এবং মধ্য এশিয়ার আরব অঞ্চল এবং ব্রিকস)।
কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং বার্ষিকভাবে প্রকাশিত হয় সাধারণত জুন মাসে। ২০২৩ সংস্করণে ১০০টি স্থানের মোট ১৪১৮টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। র্যাঙ্কিং গণনা করার জন্য কিউএসে ব্যবহৃত সবচেয়ে সাম্প্রতিক পদ্ধতির মানদ-গুলো হলো নিম্নরূপÑ ১. প্রাতিষ্ঠানিক খ্যাতি (৪০%)- এক্ষেত্রে অ্যাকাউন্টিং, একাডেমিক খ্যাতি, একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব (পাণ্ডিত্যপূর্ণ সম্মান)। এটি ১৪০টির বেশি দেশ এবং অবস্থানে শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে ১৫০,০০০ টির বেশি প্রতিক্রিয়া সংগ্রহ করে? ২. অনুষদ/ছাত্র অনুপাত (২০%)- এটি একটি ক্লাসিক পরিমাপ, যা বিভিন্ন র্যাঙ্কিং সিস্টেমে শিক্ষার্থীদের জন্য সরবরাহ করা স্টাফ রিসোর্সের হিসাব, যার মধ্যে শিক্ষার দক্ষতা, ক্লাসের আকার, শিখন ক্ষমতা, পাঠ্যক্রমের বিকাশ, ল্যাব সুবিধা, সেমিনার ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। ৩. উদ্ধৃতি/অনুষদ (২০%)- কিউএস এক্ষেত্রে থমসন রয়টার্স, এলসেভিয়ার, স্কোপাস ইনডেক্স ডাটাবেস থেকে তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
এই পরিমাপের জন্য স্কোর পেতে একটি পাঁচ বছরের সময়ের জন্য উদ্ধৃতির মোট সংখ্যাকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবিদদের সংখ্যা দিয়ে ভাগ করা হয়। ৪. নিয়োগকর্তার খ্যাতি (১০%)- একাডেমিক রেপুটেশন, নিয়োগে স্বচ্ছতা, লিঙ্গ, বর্ণ, ভালো ফল, শিক্ষার মান ইত্যাদি। ৫. আন্তর্জাতিকীকরণ (১০%)Ñ ছাত্র, শিক্ষক এবং অন্যান্য কর্মকর্তা, কর্মচারীর হার সমান অর্থাৎ ৫০% বিবেচনায় আনা হয়। র্যাঙ্কিংয়ের এ তালিকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান শিক্ষা কার্যক্রমের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
তবে সূচকে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিছিয়ে পড়ার কারণ হচ্ছে, এখানে (অধিকাংশ ক্ষেত্রে) কোনো বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী থাকে না। পাশাপাশি তত্ত্বের হালনাগাদ এবং ইন্টারেক্টিভ ওয়েবসাইটের অভাব। অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের নাম ছাড়া আর কিছুই দেখা যায় না। ছাত্র সহায়ক তেমন কোনো তথ্য থাকে না। এগুলোর বিষয়ে উদ্যোগ নিলেই র্যাঙ্কিংয়ে ভালো মান পাওয়া সহজ হয়। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এসব বিষয়ে অনেক এগিয়ে আছে। ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর চমৎকার পরিবেশ আছে। এছাড়াও তারা বিদেশী অভিজ্ঞ শিক্ষক এমনকি নোবেল বিজয়ী এনে প্রায়ই আন্তর্জাতিক সেমিনারের আয়োজন করে থাকে।
এক্ষেত্রে তারা সূচকের পূর্ণ নম্বর পেয়ে থাকে, যা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে একেবারে শূন্যে। এক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কিছুটা এগিয়ে আছে তাদের অধীনে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের বিদেশী শিক্ষার্থীর কল্যাণে। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থার পাশাপাশি দেশেও এ ধরনের র্যাঙ্কিং তালিকা করা উচিত। আর এই ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বর্তমানে ইউজিসির সক্ষমতা আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। এখানে আছেন একাধিকবার উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, আছেন দেশবরেণ্য তথ্য-প্রযুক্তিবিদগণ। আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ের আলোকে কিভাবে এরকম একটি পদ্ধতি রূপায়ণ করা যায়, তা নিশ্চয়ই তারা ভালো জানেন। এক্ষেত্রে ইউজিসি এবং বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করলে আরও দ্রুত ফল পাওয়া যেতে পারে।
প্রতিবছরই দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক এবং কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানের নাম ঘোষণা করা হয়, পুরস্কৃত করা হয়। এতে শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ে, শিক্ষার মানোন্নয়ন হয়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়েও শিক্ষকদের গবেষণা কর্ম, শিক্ষাদানের দক্ষতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আনুপাতিক হার, শ্রেণিকক্ষে ও ল্যাবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতিচর্চা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে একটি দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয় র্যাঙ্কিং প্রথা চালু করা আবশ্যক। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫৩টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্য, সহ-উপাচার্য এবং কোষাধ্যক্ষ নেই। ইউজিসির কাছে এ ধরনের তালিকা থাকলে এসব পদে নিয়োগে স্বচ্ছতা আসবে, যোগ্য শিক্ষাবিদরা যথাস্থানে আসীন হবে, শিক্ষার পরিবেশ ও মান উন্নত হবে, আন্তর্জাতিক সূচিতেও অবস্থান আরও এগিয়ে আসবে দেশের।
লেখক : অধ্যাপক, তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, আইআইটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়