বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ থানায় করা মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস।
গতকাল ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপির আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. ইমরান আলী বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে ৫ ফেব্রুয়ারি মোনায়েম হোসেন জেমসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে লালবাগ থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন জেমসের বাবা আবদুল ওহাব ও ভাই জাকির হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকায় ইডেন কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায় বাদীর (কলেজছাত্রী) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন জেমস। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে বাদীকে লালবাগের রসুলবাগের একটি ভাড়া বাসায় একাধিকবার নিয়ে ধর্ষণ করেন মোনায়েম। এ অবস্থায় বাদী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জেমসকে জানালে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। বাধ্য হয়ে নির্যাতিত নারী বিষয়টি জেমসের বাবা-ভাইকে জানান। কিন্তু তারাও বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে ৩ ফেব্রুয়ারি মোনায়েম হোসেন জেমসের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ে দেন। জানা গেছে, আসামি জেমস সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।