কোনো শিক্ষার্থী বিয়ে করলে হলে থাকতে পারবে না, কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের দোতলা বাসে ছাত্রীরা নিচতলায় বসবে এবং ছাত্ররা দোতলায় বসবে, এমন সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে ক্যাবল অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এসব সিদ্ধান্ত কীভাবে হয়, কোথা থেকে হয়, কার মাথা থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখা দরকার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষামন্ত্রীকে জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশি পণ্যের বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধ হওয়ায় এবং ক্লিনফিডের মাধ্যমে বিদেশি টেলিভিশন প্রদর্শিত হওয়ায় দেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হওয়া প্রায় ৫০০ কোটি টাকা টাকা সেভ হয়েছে। অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমে ক্লিনফিড ছাড়াই বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করার বিষয়টিও বন্ধ করা হবে।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে ড. হাছান বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের প্রমোশন দিয়েছেন। যিনি নিজের প্রকৃত জন্মতারিখ বদলে দিয়ে, জাতীয় শোক দিবসের দিনে মিথ্যা জন্মদিন পালন করেন। একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ সেপ্টেম্বর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের একমাত্র আবাসিক হলে থাকা বিবাহিত এবং অন্তঃসত্ত্বাসহ ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেয় হল কর্তৃপক্ষ। বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ দীপিকা রাণী সরকার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিবাহিত এবং অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীদের হল ছাড়তে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আবাসিক ছাত্রীদের যাদের স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়েছে, তারা অতি দ্রুত হল ত্যাগ করবে। কোনো মানোন্নয়ন (মাস্টার্স) পরীক্ষার্থী, এম.ফিল ছাত্রী হলে থাকতে পারবে না। এ ছাড়া আবাসিকতা লাভ ও বসবাসের শর্তাবলি এবং আচরণ ও শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা ২০২১ এর ১৭ নম্বর ধারা মোতাবেক বিবাহিত ও অন্তঃসত্ত্বা ছাত্রীরা আবাসিক সিট (আসন) পাবে না বিধায় তারা অতি দ্রুত হলের সিট ছেড়ে দেবে। অন্যথায়, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।