দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : ভয়াবহ সব অভিযোগ ওঠার পর বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) সাংবাদিক সমিতির কমিটি বিলুপ্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রোববার (২১ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রূপক মুৎসুদ্দি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে বুয়েট কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দাবি উঠেছে সমিতি বিলুপ্ত করার। সাংবাদিকরা প্রশ্ন তুলে বলেছেন, কমিটি বিলুপ্ত করে কি হবে। সাংবাদিক সমিতির নাম বিলুপ্ত করতে হবে। সাংবাদিকদের সমন্বয়ে যে সমিতি হয়, তার নাম সাংবাদিক সমিতি। এখানে কোনো সাংবাদিক নাই। তাহলে। শিক্ষার্থীদের ক্লাবের নাম কখনো সাংবাদিক সমিতি হতে পারে না।
বুয়েটের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যেই এ ধরনের সমিতি পরিচালনা নিয়ে আছে ব্যাপক মতবিরোধ। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা নিজেরা গড়ে তোলেন সমিতি। বিরোধের কারণে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক সমিতিও আছে। রয়েছে অফিস। সাধারণত কিছু বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিনিধি দিয়ে থাকে গণমাধ্যমগুলো। তাদের কাজ হচ্ছে যার যার প্রতিষ্ঠানের খবর অফিসে পাঠানো। যেমন জেলা-উপজেলা প্রতিনিধিরা নিজ নিজ অফিসের জন্য কাজ করেন। সাংবাদিক সমিতি বললে এমনটাই সবাই বুঝে থাকেন।
তুলনামূলকভাবে ছোট ও পাশেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থাকায় এখানে গণমাধ্যমগুলো প্রতিনিধি দেয়ায় আগ্রহ দেখায় না। মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিই বুয়েটের নিউজ সংগ্রহ করে থাকেন। কিন্তু এখানেও যে একটা অদ্ভুত সাংবাদিক সমিতি আছে তা এবার আন্দোলনের সময় প্রকাশ হয়ে পড়েছে কেবল গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে।