প্রাথমিকের বৃত্তির ফল নিয়ে লেজেগোবরে অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসন। ফল প্রকাশের পর তাতে নজিরবিহীন ভুল থাকায় তা স্থগিত করা হয়েছে। এ ফল কেলেঙ্কারির ঘটনায় কোনো কর্মকর্তার গফিলতির প্রমাণ মিললে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, যদি কারো অপরাধ প্রমাণিত হয় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জানা গেছে, প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল কেলেঙ্কারির নেপথ্যে রয়েছে কর্মকর্তাদের অদক্ষতা। তাদের ভুলেই সাড়ে ৮২ হাজার শিক্ষার্থী নির্বাচনে ভুল হয়েছে। পরীক্ষা না দেয়া শিক্ষার্থীরাও বৃত্তি পাওয়ার জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। ফল কেলেঙ্কারির কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। গঠন করা হয়েছে কমিটি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, ফল তৈরির সঙ্গে যুক্ত অধিদপ্তরের কারিগরি দলের ভুলের কারণে মূলত এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে বৃত্তি পরীক্ষার ফল বুধবার রাতে প্রকাশ করতে চাচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু ফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। তবে, এদিন সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফল প্রকাশের বিষয়ে আশাবাদী কর্মকর্তারা।
অধিদপ্তরের আইএমডি শাখার এক কর্মকর্তা সন্ধ্যায় দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, রাতের মধ্যে ফল প্রকাশের সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট অনুজ কুমার রায়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।