বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তরে স্কলারশিপ দিচ্ছে যুক্তরাজ্যের এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এমএ, এমএসসি অথবা এলএলএম অধ্যয়নকালীন এক বছরের জন্য এই স্কলারশিপ দেয়া হবে। এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রিটিশ সরকার ও ব্রিটিশ কাউন্সিল যৌথ উদ্যোগে এ স্কলারশিপে অর্থায়ন করা হয়। ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষেও এই সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। এই বৃত্তির আওতায় ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের স্প্রিং শিক্ষাবর্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা দেশটিতে স্নাতকোত্তরে পড়ার সুযোগ পাবেন।
গ্রেট স্কলারশিপের লক্ষ্য হচ্ছে যুক্তরাজ্যে বিদেশিদের শিক্ষার ক্ষেত্র প্রশস্ত করা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা। বাংলাদেশের ব্রিটিশ কাউন্সিল যুক্তরাজ্যের বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থী এবং পেশাদারদের জন্য বিস্তৃত স্কলারশিপ প্রোগ্রামের সুযোগ দেয়। এই বৃত্তি প্রোগ্রামগুলো বাংলাদেশিদের জন্য অসাধারণ সুযোগ দিচ্ছে। শুধু একাডেমিক স্তরেই নয়, এটি তাদের নমনীয়তা, সাংস্কৃতিক সচেতনতা এবং অন্য দেশের মানুষ কীভাবে কাজ করে, চিন্তা করে তা বোঝারও সুযোগ করে দেয়। ফলে তাদের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে দেয়।
স্কলারশিপের সুযোগ-সুবিধা
নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার পাউন্ড করে দেয়া হবে। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৩ লাখ টাকা। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর করার সুযোগ।
আবেদনের যোগ্যতা
বাংলাদেশের একজন পাসপোর্টধারী নাগরিক হতে হবে। স্নাতকে ভালো ফলধারী হতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভর্তির প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে হবে। সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকতে হবে। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা সনদ প্রদর্শন করতে হবে। ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্রেট স্কলারদের নেটওয়ার্কে যোগ দিয়ে অভিজ্ঞতা শেয়ারের মানসিকতা থাকতে হবে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল ও তাদের হায়ার এডুকেশন ইনস্টিটিউশনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে এবং গ্রেট স্কলারশিপের একজন দূত হিসেবে কাজ করতে হবে।
গ্রেট স্কলারশিপের একজন অ্যালামনাই হিসেবে কাজ করতে হবে।
এ ছাড়া আবেদনকারীদের নিম্নবর্ণিত তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে (প্রতিটি সর্বোচ্চ ২০০ শব্দের মধ্যে)।
১. ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিতে চায়, যারা ভবিষ্যতে নিজের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। তাই আপনার বিশেষ কোন কাজ বা গুণ আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়টির এই বৃত্তির জন্য যোগ্য করে তুলবে, তা লিখতে হবে।
২. ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স চায়, আপনি তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধি হবেন। তাদের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তাই আপনাকে দেখাতে হবে যে আপনি আপনার স্কুল কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা যেখানে বসবাস করেন অথবা নিজেকে যাদের অংশ মনে করেন, তাদের জন্য আপনি কী অবদান রেখেছেন।
৩. বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পছন্দের বিষয়ে অধ্যয়ন আপনার ভবিষ্যৎকে সাজাতে কীভাবে সাহায্য করবে, তা লিখতে হবে; অর্থাৎ ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত লক্ষ্যের পাশাপাশি ইউনিভার্সিটি অব এসেক্স আপনাকে কেন আকর্ষণ করেছে, তা ব্যাখ্যা করতে হবে।
ওয়েবসাইট: https://www. essex.ac.uk/scholarships/great-scholarship
আবেদনের শেষ সময়: ৩১ মে,২০২৩।