রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আটক তিনজন হলেন ওই ভবনে ‘চুমুক’ নামের একটি খাবার দোকানের দুই মালিক আনোয়ারুল হক ও শফিকুর রহমান এবং ‘কাচ্চি ভাই’ নামের আরেকটি খাবারের দোকানের ব্যবস্থাপক জয়নুদ্দিন জিসান। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান।
মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনের ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যাদের দায় পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আগুনের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ কর্মকর্তা মহিদ উদ্দিন বলেন, তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী ও ৮ জন শিশু আছে। এর মধ্যে ৪০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। ৩৮ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুটি মরদেহ মর্গের ফ্রিজে রাখা হয়েছে। অন্য ছয়টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।
নিউ বেইলি রোডের ‘গ্রিন কজি কটেজ’ নামের আটতলা ওই ভবনটিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে আগুন লাগে। এতে ৪৬ জন মারা যান। ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা শঙ্কামুক্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন। ভবন থেকে ৭০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।