দৈনিক শিক্ষাডটকম প্রতিবেদক : রাজধানীর নিউ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে মারা যাওয়া ৪৬ জনের মধ্যে সর্বশেষ ব্যক্তিরও পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম (২৫)। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে নাজমুলের লাশ তাঁর বাবা নজরুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডি বলছে, নাজমুলের লাশ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল। বোঝার উপায় ছিল না, এটি কার লাশ। পরে ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে সেটি মিলিয়ে নাজমুলের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
সিআইডি ঢাকা মেট্রো দক্ষিণের পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পরই নাজমুলের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরিবার জানায়, নাজমুলের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরে। তিনি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি রামপুরার বনশ্রীর সি ব্লকের ৯ নম্বর সড়কের একটি বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তিনি বন্ধুদের সঙ্গে গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিলেন।
নাজমুলের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, ১২ দিন পর ছেলের লাশ বুঝে পেলাম। একদিকে ছেলের মুত্যু, অন্যদিকে পরিচয় নিশ্চিত না করে লাশ দেওয়া হচ্ছিল না, এ যে কী যন্ত্রণার বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তিনি ছেলের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি নিউ বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৪৪ জনের লাশ আগেই হস্তান্তর করা হয়। তবে দুজনের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় লাশ হস্তান্তর করা যাচ্ছিল না। পরে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দুজনের পরিচয় শনাক্ত হয়। গতকাল সোমবার অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর লাশ তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল। আজ নাজমুল ইসলামের লাশ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।