দৈনিক শিক্ষাডটকম ডেস্ক : অসদাচরণ ও বিধিবহির্ভূতভাবে ৬ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেয়ার দায়ে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেনকে দেয়া ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত) বহাল রেখেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে লঘুদণ্ড হিসেবে তার বেতন স্কেল ডাউন করা হয়েছে।
রোববার (৩১ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আগের দেয়া লঘুদণ্ডের প্রেক্ষিতে সাবেক ওই কর্মকর্তাকে ওএসডি করেছিলো কর্তৃপক্ষ। তবে এর বিরুদ্ধে তিনি রাষ্ট্রপতি বরাবর পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করলেও শাস্তির কোনো পরিবর্তন হয়নি।
অধ্যাপক মোকবুল হোসেন বর্তমানে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকায় বিশেষ কর্মকর্তা (ওএসডি) হিসেবে সংযুক্ত আছেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২১ নভেম্বর তাকে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাজশাহীর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো, তিনি নিজের ক্ষমতা ও অনিয়মের মাধ্যমে ৬ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি ও পদায়ন করেন যা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ব্যাপক আলোচিত হয়।
এর আগে এসব বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে অসদারচণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলাবিষয়ক শাখা।
গত বছর তৎকালীন শিক্ষা সচিবের সেই চিঠিতে বলা হয়, ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জানুয়ারি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের ৬ জন কর্মকর্তাকে বিধি-বহির্ভূতভাবে পদোন্নতি এবং উচ্চতর বেতন স্কেল দিয়ে পদায়ন করেন অধ্যাপক মোকবুল হোসেন যা তাদের প্রাপ্য ছিলো না।
এই ছয় কর্মকর্তা হলেন- উপ-সচিব (ভান্ডার) ফরিদ হোসেন, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (স্ক্রিপ্ট) মিসেস রুবী, উপ-সচিব (ভান্ডার) দুরুল হোদা, সহকারি সচিব (প্রশাসন) খোরশেদ আলম, সহকারি ক্রীড়া অফিসার মো. নুরুজ্জামান ও গণসংযোগ কর্মকর্তা সুলতানা শামীমা আক্তার।
পরে গত বছরের ৪ অক্টোবর পাঠানো চিঠিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলোর আগের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব প্রত্যাখান করে তাকে চূড়ান্ত নোটিশ দেয়।