দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দাবি করা হয়েছে। বাংলাদেশ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (বাকবিশিস) কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ দাবি জানানো হয়।
গতকাল শনিবার এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদারের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর সভাটি সঞ্চালনা করেন। সারাদেশ থেকে উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির ৫৯ জন সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. আকমল হোসেন। বিশ্ব শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম সভায় বক্তব্য দেন। সাধারণ সম্পাদক আগামী ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন।
সভায় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সংগতি রেখে সারাদেশের শিক্ষক-কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি করা হয়। একইসঙ্গে, বিক্ষিপ্ত বিচ্ছিন্নভাবে সরকারিকরণ না করে, শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ ও নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সংগতি রেখে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষকদের জরুরি ভিত্তিতে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার দাবি করা হয়।
এছাড়া আগামী ৫ ও ৬ মে দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও শিক্ষায় এর প্রভাব এবং এসডিজি বিষয়ক ওই কর্মশালায় সারাদেশ থেকে শতাধিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। সভায় বক্তব্য দেন ড. আজিজুর রহমান, অধ্যাপক এম এ বারী, ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক জলিলুর রহমান, অধ্যক্ষ গোলাম সরওয়ার, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার, অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান সেলিম, অধ্যাপক সৈয়দ ফজলুর রহমান, অধ্যক্ষ শামসুল ইসলাম, অধ্যাপক অজয় রায়, অধ্যক্ষ নুরুল আবছার, অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম লাভলু, অধ্যক্ষ শিমুল বডুয়া, অধ্যক্ষ নিহার রায়, অধ্যাপক ড. অসীম সরকার, অধ্যাপক ড. এ এস এম আব্দুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী, অধ্যাপক নাজিম উদ্দিন তালুকদার, অধ্যাপক নেয়ামুল হাসান পামেল, অধ্যাপক তড়িৎ কুমার ভট্টাচার্য, অধ্যাপক শাহিনা পারভিন, অধ্যাপক নুর জাহান বেগম, অধ্যাপক মালিহা পারভিন, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক লতিফা পারভীন, অধ্যাপক মাসুম ইবনে শফিক, অধ্যাপক অসীম চক্রবর্তী ও উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল হকসহ অন্য শিক্ষক নেতারা বক্তব্য দেন।
সভায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারিদে ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা প্রদানসহ শিক্ষা ও শিক্ষকদের বিভিন্ন দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।