কান্নায় ভেঙে পড়েছেন নেইমার। তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন কাসেমিরো। সান্ত্বনা দিয়ে গেলেন বিপক্ষ অধিনায়ক লুকা মদ্রিচও। কিন্তু নেইমারের কান্না থামছে না। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে পেনাল্টিতে হেরে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিল ব্রাজিল। এর পরেই নেইমারের গলায় অবসরের ইঙ্গিত।
শুক্রবার রাতে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে ২-৪ গোলে পেনাল্টিতে হেরে যাওয়ার পর নেইমারকে মাটিতে লুটিয়ে পড়তে দেখা যায়। কান্না থামছিল না তাঁর। সতীর্থ থিয়েগো সিলভা এসে তাঁকে থামানোর চেষ্টা করেন। নেইমার বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না যে, ব্রাজিল হেরে গিয়েছে। সমর্থকদের মতো বিস্ময় ছিল নেইমারের চোখেও। বিশ্বাস হচ্ছিল না মাত্র ১৫ মিনিটে ব্রাজিলের সব লড়াই শেষ হয়ে গেল।
নেইমার ব্রাজিলের হয়ে ৭৭তম গোল করে পেলেকে ছুঁয়েছিলেন। কিন্তু সেই আনন্দ দীর্ঘস্থায়ী হল না। রড্রিগো এবং পেদ্রোর সঙ্গে পাস খেলে গোলের রাস্তা খুলেছিলেন নেইমার। ২০১৯ সালে কোপা আমেরিকা জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু বিশ্বকাপ কিছুতেই জেতা হচ্ছে না তাঁর। তিন বার বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও এখনও ট্রফি অধরা। কিন্তু এর পর তিনি আবার কবে ব্রাজিলের জার্সি পরবেন তা স্পষ্ট নয়।
ক্রোয়েশিয়া যে তাঁদের হারিয়ে সেমিফাইনাল পৌঁছে যাবে তা বিশ্বাসই করতে পারছিলেন না নেইমাররা। পেনাল্টি ফস্কানো মার্কুইনোস মুখ লুকোলেন ঘাসে। একা একা বসেছিলেন নেইমার। কিছু ক্ষণ পরেই ভেঙে পড়লেন কান্নায়। সামলানোই যাচ্ছিল না ব্রাজিলের এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় ফুটবলারকে। ছুটে এসে জড়িয়ে ধরলেন দানি আলভেস। এ দিন ম্যাচে খেলেননি। ৩৯ বছর বয়স তাঁর। এটাই ছিল শেষ বিশ্বকাপ। দাদা হিসাবে ভাইকে যে ভাবে সান্ত্বনা দেওয়ার দরকার, সেটাই করলেন।
কাঁধে টেনে নিলেন নেইমারের মাথা। বুকে-পিঠে হাত বুলিয়ে নানা ভাবে চেষ্টা করলেন নেইমারকে শান্ত করার। কিন্তু বৃথাই সেই প্রচেষ্টা। ৩১ বছরের নেইমার কাছেও তো সময় কমে আসছে। কে বলতে পারে এটা তাঁরও শেষ বিশ্বকাপ নয়। কাপ নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন মরিয়া হয়েই। আরও এক বার ঠোক্কর খেতে হল শেষ আটে এসে।