লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৩৬ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় শতাধিক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে সাও পাওলোর গভর্নর পাঁচটি উপকূলীয় শহরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাও সেবাস্তিয়াও ও বার্তিয়োগা শহরের। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবি থেকে দেখা গেছে বন্যায় হাইওয়ে ভেসে গেছে। গাড়ি গিয়ে পড়েছে খাদে। ছোট ছোট নৌকা করে মানুষকে উদ্ধার করা হচ্ছে। সেখানে কার্নিভাল আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
সাও পাওলো শহরের ২০০ কিলোমিটার উত্তরে শহরগুলোতে এই সময় পর্যটকরা কার্নিভাল দেখার জন্য ভীর জমান। গেলো ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড ৬০০ মিমি বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে শহর কর্তৃপক্ষ। ভূমিধসে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্রাজিলে ভ্রমণকারী অনেক পর্যটক আটকা পড়েছেন।
দুর্যোগের পর হতাহতদের খোঁজে সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। বিচ্ছিন্ন এলাকাগুলোর মধ্যে পুনরায় সংযোগ চালু এবং রাস্তা পরিষ্কারের কাজও চলছে। আটকে পড়া পর্যটকদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, হেলিকপ্টারের সাহায্যে ঘটনাস্থলে ১০০জনেরও বেশি দমকলকর্মী কাজ করছে। শুধুমাত্র সাও সেবাস্তিয়াও শহরেই কমপক্ষে ৩৫ জন মারা গেছে বলছে শহর কর্তৃপক্ষ।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে দেখা যাচ্ছে, সাও পাওলোর উপকূলীয় এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। এরফলে সিভিল ডিফেন্স এবং ফায়ার ডিপার্টমেন্টের উদ্ধারকারী দলের উদ্ধার তৎপরতা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এবং প্রাণহানির সংখ্যা আরও বৃদ্ধির আশঙ্কাও রয়েছে।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা, অবকাঠামো পুনরুদ্ধার এবং পুনর্গঠন কাজ শুরু করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে ব্রাজিলের ফেডারেল সরকার। অন্যদিকে সাও পাওলো প্রদেশ সেখানকার ছয়টি শহরের জন্য ১৮০ দিনের বিপর্যয়কর সময় ঘোষণা করেছে।