নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ব্রিকসে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হলে 'বাংলাদেশ’স পিভট টুওয়ার্ডস ব্রিকস: চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ইন্টারেস্টস’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এনএসইউর সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্স (এসআইপিজি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এসআইপিজি পরিচালক এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস কে তৌফিক এম হক সভাটি সঞ্চালনা করেন। এনএসইউ কর্তৃপক্ষের পাঠানোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
এনএসইউ কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্রিকসের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) সঙ্গে বাংলাদেশের সম্ভাব্য সম্পৃক্ততা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা এ আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। সভায় আলোচকেরা এই বিষয়ে তাদের বিশ্লেষণ ও দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন এবং ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্ক তুলে ধরেন।
নেদারল্যান্ডসের হেগের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল স্টাডিজের অধ্যাপক সৈয়দ মনসুব মুর্শেদ আন্তর্জাতিক অর্থনীতি ও রাজনীতিতে সম্ভাব্য প্রভাব তুলে ধরে বাংলাদেশের কৌশলগত পরিবর্তনের বৈশ্বিক ভূ-অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অনারারি প্রফেসরিয়াল ফেলো প্রফেসর নিয়াজ আসাদুল্লাহ বলেন, ব্রিকস এর সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও উন্নয়নের যে সুযোগ তৈরি হবে বাংলাদেশকে তা কাজে লাগাতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. লাইলুফার ইয়াসমিনের কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং দক্ষিণ এশিয়া ও ব্রিকসভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এসআইপিজি'র অধ্যাপক শহীদুল হক আঞ্চলিক শক্তির গতিশীলতা এবং জোটের সম্ভাব্য সামঞ্জস্য বিবেচনা করে ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে একটি বিস্তৃত বিশ্লেষণ তুলে ধরেন ও বাংলাদেশকে বিচক্ষণতার সাথে কাজ করতে পরামর্শ দেন।
সেমিনারে আলোচনা শেষে শ্রোতাদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারীরা সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্নেন্সের (এসআইপিজি) পরিকল্পনা এবং ইভেন্টটি সফলভাবে আয়োজন করায় তাদের প্রশংসা করেন।