বয়স গোপন রেখে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা চলাকালে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান তাকে বহিষ্কার করেন।
বহিস্কৃত পরীক্ষার্থী এস এম শামীম আল মামুন নাগরপুর সদর ইউনিয়নের দুয়াজানী গ্রামের মো. রিয়াজুল ইসলামের ছেলে। তিনি নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন।
জানা যায়, এনআইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী এস এম শামীম আল মামুনের জন্ম ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দে। সে হিসেবে তার বয়স ৩৯ বছর। তিনি ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করেন এবং ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বোর্ড থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নেন। চলতি এসএসসি পরীক্ষার (৩০ এপ্রিল) রোববার প্রথম দিন বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালে বিষয়টি কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা জিএম ফুয়াদের নজরে আসে। তিনি ঊর্ধ্বতন অফিসারকে বিষয়টি জানান। এসময় ওই ছাত্রের কাছে জানতে চাইলে সব স্বীকার করেন। পরীক্ষা শেষে অ্যাডমিট কার্ড ও রেজিস্ট্রেশন কার্ড জব্দ করে হল কর্তৃপক্ষ।
কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা জিএম ফুয়াদ বলেন, আমি দায়িত্ব পালনকালে ওই ছাত্রকে দেখে সন্দেহ হওয়ায় বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাই।
বিষয়টি স্বীকার করে এসএম শামীম আল মামুন বলেন, সার্টিফিকেটে বয়স কমানোর জন্য নতুন করে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দে জন্মতারিখ দেখিয়ে জন্ম সনদ বের করে এবং ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে নাগরপুর উপজেলার বনগ্রাম শহীদ মেমোরিয়াল হাইস্কুল থেকে রেজিস্ট্রেশন করে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করি।
নয়ান খান মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হোসেন আলী মনসুর দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ওই ছাত্রের এনআইডি কার্ডে জন্মের বছর ১৯৮৪ আর জন্ম সনদে ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দ।
নাগরপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ইতিপূর্বে সে এসএসসি পাস করেছে। সে আবার এসএসসি পরীক্ষা দিতে আসছে। মূল বয়স গোপন করে প্রতারণার মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা অপরাধ। এ কারণে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।