এবারের এইচএসসিতে যারা পাস করেছো তাদের অভিনন্দন। এখন হচ্ছে সত্যিকার অর্থে ভর্তিযুদ্ধ। ভর্তি যুদ্ধের ক্ষেত্রে তোমরা যে যা হতে চাও, কেউ ডাক্তার হতে চাও, কেউ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাও। যেখানেই পড়তে চাও না কেনো আমি আশা করি তোমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছ। সেভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করো। কারণ এবারের পরীক্ষা কিন্তু সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতামূলক হবে।
জেনে রেখো, সীমিত আসনে তোমাদেরকে সুযোগ পেতে হবে। তাই নিজেদেরকে প্রস্তুত করো এবং হেলায় নিজেকে নষ্ট করো না।
মনে রাখবে, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নের ধরন একেক রকম আসে। সেটা জেনে নিয়ে নিজেদেরকে প্রস্তুত করো। আশা করি সবাই নিজের যোগ্যতা দিয়ে ভালো অবস্থানে যেতে পারবে।
এবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের পাসের হার শতভাগ। এ বছর আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৯৬১ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। তাদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৬৮ জন। পরীক্ষার্থীদের জিপিএ-৫ পাওয়ার হার ৯০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এ প্রশংসনীয় সাফল্যের মূলে রয়েছে কলেজের অভিজ্ঞ ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন বোর্ড অব গভর্নরস। সাম্প্রতিককালে নেয়া বিশেষ একাডেমিক ও সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম, পাঠদানের সুশৃঙ্খল নীতিমালা, নিয়মিত শ্রেণিপাঠদানের পাশাপাশি তুলনামূলক দুর্বল শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত শ্রেণিপাঠদান, ছাত্রদের পাঠোন্নতির নিয়মিত মনিটরিং ইত্যাদি এমন অর্জনে সহায়ক হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উন্নত পাঠদান, অভিভাবকদের সচেতনতা ও তত্ত্বাবধান এবং ছাত্রদের একনিষ্ঠ অধ্যয়ন ও ভালো ফলাফল করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
আমি কৃতজ্ঞতাচিত্তে আমার ছাত্র ও তাদের অভিভাবকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাদের শিক্ষকদের, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ছাত্রদের তৈরি করেছেন। ছাত্র আন্দোলনে আমাদের কলেজের শহীদ ফারহান ফায়াজের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আন্দোলন পরিস্থিতির মধ্যেও আমাদের ছাত্ররা যে মাথা ঠান্ডা রেখে পরীক্ষা দিয়েছে এবং ভালো করেছে সে কারণে আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।
শেষ আর একটি বিষয় বলে রাখি, এবার সাবজেক্ট ম্যাপিং এর মাধ্যমে রেজাল্ট দেয়া হয়েছে। আন্দোরণ পরবর্তী পরিস্থিতিতে সরকারের আর কিছু করার ছিলো না।
ব্রি. জেনারেল শামীম ফরহাদ, অধ্যক্ষ, ডিআরএমসি