বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে ৯৪তম সিন্ডিকেট সভা চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলমসহ সিন্ডিকেট সদস্যদের অবরুদ্ধ করার ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে সিন্ডিকেট সভা চলাকালে হঠাৎ করেই ফেল করা ১৩ জন চিকিৎসক উত্তেজিত হয়ে হৈচৈ শুরু করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৪তম সিন্ডিকেট সভা চলাকালে হঠাৎ করেই কিছু লোক এসে উত্তেজিত হয়ে হৈচৈ শুরু করে। তাদের দাবি, বিগত সরকারের দীর্ঘ সময়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে পারেনি। আবার অনেকে পরীক্ষাও দিতে পারেনি। তারা নানাভাবে বৈষম্যের শিকার। তাই তাদের এবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করে দিতে হবে। এসময় তারা ভিসিসহ সিন্ডিকেট সদস্যদের আটকে রাখে।
জানা যায়, এমডি-এমএস রেসিডেন্সি ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করা ১৩ চিকিৎসক সকালে সিন্ডিকেট সভা চলাকালে রুমের বাইরে হট্টগোল করে।
চিকিৎসকদের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বিএনপিপন্থি চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (ড্যাব) দুই গ্রুপের ভেতরকার উত্তেজনায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী কর্মকর্তারা জানান, দুপুরের দিকে ড্যাবের সাবেক আহ্বায়ক ও বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের অনুসারী এবং কর্মীরা ভিসি ও সিন্ডিকেট সদস্যদের অবরুদ্ধ করে। এরপর খবর পেয়ে সেখানে আসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হাসানের অনুসারীরা। এসময় তারা অবৈধভাবে ভর্তির সুযোগ না দেওয়ার পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যায়ে অনুত্তীর্ণ হয়েও ভর্তি হতে থাকা চিকিৎসকরা পিছু হটেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, ২০০৩ সাল থেকে ২০০৬ সাল থেকে বিএসএমএমইউতে কর্মরত রয়েছেন, কিন্তু রেসিডেন্সি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি এমন একদল মেডিক্যাল অফিসার দুপুরের দিকে হঠাৎ করে এসেই হৈচৈ শুরু করে। তারা রেসিডেন্সি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করলেও উত্তীর্ণ হতে পারেনি। এবার তারা বঞ্চিত বিবেচনায় ভর্তির সুযোগ চায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, দুপুর আড়াইটার দিকে সিন্ডিকেট সদস্যদের মিটিং রুমের বাইরে অবস্থান করছেন অবরুদ্ধকারীদের বিরুদ্ধে। তবে সিন্ডিকেট বৈঠক রুমের সামনে আনসারদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।