দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক: ‘ডিবির ভাতের হোটেল’ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবচেয়ে চর্চিত ইস্যুর একটি। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, ‘এটা আসলে রসবোধক প্রশ্ন। বাঙালি একটা রসবোধক জাতি। বাংলা সাহিত্যে রসবোধ প্রয়োগ কিন্তু আমাদের মানসিক খোরাক জোগায়।
আমি মনে করে এটা রসবোধ প্রবণ একটি বিষয় যে, ডিবি ভাত খাওয়ায়। ’
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমরা তো আসলে কাউকে ডেকে এনে খাওয়াই না। কেউ যদি কাজের জন্য আমাদের কাছে আসে, তার কাজটা করে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর পাশাপাশি লাঞ্চ টাইম হলে লাঞ্চের অফার করি।
হারুন অর রশীদ আরও বলেন, সেই ব্যক্তি যদি অফার গ্রহণ করেন তাহলে খেয়ে যান। আর আমরা তো ব্রিটিশ পুলিশ না। আমরা এখন স্বাধীন দেশের পুলিশ। একটা সময় থানাতে যেতে মানুষ ভয় পেত। আর এখন আমি একজন ডিআইজি। শত শত লোক কোনো না কোনো কাজে এখানে আসছে। সাইবার বুলিংসহ বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মানুষ আমাদের কাছে আসছে।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিকরাও বলেন ডিবি একটি আস্থার জায়গা। ডিবিতে সব ধরনের মানুষের অভিযোগের কথা শোনা হয়। আমি মনে করি ডিবি যেহেতু একটি আস্থার জায়গা, ডিবিতে যেহেতু সাধারণ মানুষ আসে তাই আমরা তাদের কাজ করে দেই। আমি মনে করি এটা আমাদের একটা দায়িত্ব। আর ডিবি পুলিশ যে মানবিক এটার উদাহরণ হচ্ছে আমরা মানুষকে আপ্যায়ন করি।
এসময় আপ্যায়নের ধর্মীয় ব্যাখা দিতেও দেখা যায় ডিবি প্রধানকে। তিনি বলেন, ‘ইসলাম ধর্মে কিন্তু আছে কোনো মানুষ যদি কারো বাড়িতে আসে তাকে আপ্যায়ন করতে হয়। আমরা স্বাধীন দেশের পুলিশ। আমরা যদি কাউকে আপ্যায়ন করি এটা তো খারাপ কিছু না। আর যারা রসবোধ থেকে ভাতের হোটেল বলে তারাও কিন্তু ভালো অর্থে বলে, খারাপ অর্থে বলে না। এত আমরা উৎসাহিত হই। ’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘মানুষ এসে কাজ করে যাচ্ছে এবং খেয়ে যেতে পেরে আমাদের প্রশংসাও করছে। লাঞ্চের টাইমে খেয়ে যেতে পারলে মানুষ খুশি হয়। অপরাধীদের গ্রেপ্তার করি... পাশাপাশি মানবিক পুলিশ হিসেবে মানুষকে আপ্যায়ন করি। ’