পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের এনায়েতুল্লাহ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা আবু ইসহাককে জোর করে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার তাঁর কক্ষে বাগ্বিতণ্ডার একপর্যায়ে তাঁকে বের করে দেন স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর ও বিএনপি সমর্থিত কিছু ব্যক্তি। এ সময় কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
একই দিন মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক রবিউল করিম বাচ্চুর গলায় ফুলের মালা পরিয়ে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে চেয়ারে বসিয়ে উল্লাস করেন তারা। পরে তারা মিষ্টিমুখ করেন। এ ঘটনার বিচার চেয়ে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আবু ইসহাক।
অভিযোগে আবু ইসহাক জানান, বৃহস্পতিবার কাউন্সিলর মাহাতাব হোসেন, ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বিদ্যুৎ ও ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম সরকারের নেতৃত্বে এলাকার কিছু লোক তাঁর কক্ষে আসে। তারা তাঁকে আওয়ামী লীগের দোসর, তাদের লোকজনকে নিয়ে কমিটি করা, বালুচরের মানুষকে কমিটিতে না রাখাসহ বিভিন্ন প্রশ্ন করেন।
একপর্যায়ে তারা যাঁকে খুশি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বানাবেন বলে তাঁকে চেয়ার ছেড়ে চাবি বুঝিয়ে দিয়ে বের হয়ে যেতে বলেন। তিনি তাদের নানাভাবে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকার বৈধতা জানানোর চেষ্টা করলেও শোনেননি। তখন তিনি সম্মান রক্ষায় চলে এলে তারা মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেন।
মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দাবিদার রবিউল করিম বাচ্চু বলেন, নিয়োগকালে ম্যানেজিং কমিটি রেজুলেশন করে তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দিয়েছে। আবু ইসহাককে বারবার বলার পরও তিনি দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি। এলাকাবাসী তাঁকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। চেয়ারে বসার আগে ইউএনও বিষয়টি জানতেন না বলেও স্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে চাটমোহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোকলেছুর রহমান বিদ্যুৎ বলেন, মাদরাসাটি বালুচর সমাজের মানুষের হাতে গড়া। সমাজের লোকজনই এটি করছে। তিনি সমাজের মানুষের মধ্যে পড়েন। মাওলানা ইসহাকের বৈধ কাগজপত্র নেই। এজন্য তাঁকে চলে যেতে বলা হয়েছে।
মাদ্রসার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও ইউএনও রেদুয়ানুল হালিম বলেন, মাদরাসা পরিচালনা কমিটির একটি সভা আহ্বান করা হবে। সেখানে কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।