ভাষাবিজ্ঞানী, গবেষক ও অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান মারা গেছেন। ২৭ আগস্ট বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তাঁর একমাত্র সন্তান শামীমুজ্জামান প্রমি জানান, মরহুমের প্রথম জানাজা বাদ এশা রাজধানীর ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল গ্রামের বাড়ি নরসিংদীর আদিয়াবাদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের জন্ম ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফ্রেরুয়ারি। পুলিশ অফিসার বাবার কর্মস্থল ব্রিটিশ ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার ঝিনাইদহে। পৈতৃক নিবাস নরসিংদীর রায়পুরার আদিয়াবাদে। তার বাবার নাম মাে. নাদিরুজ্জামান, মা মােসাম্মৎ ফরিদান্নেছা।
তিনি প্রথমে নৈহাটি, পরে বরানগর, এরপর চব্বিশ পরগনা স্কুল ডায়মন্ড হারবারে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের দেশভাগের সময় চলে আসেন পৈতৃক গ্রাম আদিয়াবাদে। সেখানে গ্রামের স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা সাহিত্যে ভর্তি হয়ে ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর পাস করেন। এরপর ভারতের মহীশূর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভাষাবিজ্ঞানে পিএইচডি করেন।
মনিরুজ্জামান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ছিলেন। এ ছাড়া বাংলা বিভাগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি এবং কলা অনুষদের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি নজরুল ইনস্টিটিউটের পরিচালক ছিলেন। এমনকি রবীন্দ্র একাডেমির সিনিয়র সহ-সভাপতি, দক্ষিণ ভারতের অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব স্পিচ অ্যান্ড হিয়ারিং মহীশূরের ভিজিটিং লেকচারার ছিলেন।
ভাষা, সাহিত্য ও ফোকলোর বিষয়ে তার ৩৫টির মতো বই ও শতাধিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, চট্টগ্রাম একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ও ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে একুশে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন।