দৈনিক শিক্ষাডটকম, নীলফামারী : নীলফামারীর ৩ লাখ ৭ হাজার শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যামসুল খাওয়ানো হবে। ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলার ৬-১১ মাস বয়সী ৩১ হাজার ৩৯২ শিশুকে ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ২ লাখ ৭৫ হাজার ৬৫৩ জন শিশুকে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিাটমিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ‘ভিটামিন এ খাওয়ান, শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমান’ এই প্রতিপাদ্যে নীলফামারীতে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার বিকেলে জেনারেল হাসপাতাল সম্মেলন কক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয় আয়োজিত এক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০ লাখ ৯২ হাজার ১৬১ জন লোকসংখ্যার জেলার ছয়টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা (স্বাস্থ্য বিভাগীয় কাজ আলাদাভাবে পরিচালিত হয় ২টি পৌরসভায়) ও ৬১টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৪০টি অতিরিক্ত কেন্দ্রসহ স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা ৩ হাজার ৮০ এবং প্রথম সারির সুপার ভাইজার ১৯১ জন এ কাজে নিয়োজিত থাকবে। ১২ ডিসেমম্বর এ ক্যাম্পেইন শুরু হবে।
ক্যাম্পেইনের নির্ধারিত স্থান ছাড়াও বিভিন্ন সমাগত স্থান, রেলস্টেশন ও বাস স্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডা. মো. হাসিবুর রহমান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন প্রতিটি স্স্থ্যু শিশুকে ভরা পেটে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে শিশুদের শুধু রাতকানা রোগ নয় অপুষ্টিজনিত আরো অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শিশুদের এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুকে একটি নীল রঙের ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।