ভিসি পদের একক ক্ষমতা কমানোর কথা বললেন রাবি শিক্ষক - দৈনিকশিক্ষা

ভিসি পদের একক ক্ষমতা কমানোর কথা বললেন রাবি শিক্ষক

দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক |

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সেলিম রেজা নিউটন বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কারে আধুনিকায়ন জরুরি। শ্রেণিকক্ষের সব লেকচার থাকবে অনলাইনে উন্মুক্ত। ফলে শিক্ষকের দেওয়া লেকচার যে কেউ মূল্যায়ন করতে পারবেন এবং শিক্ষকও আত্মোন্নতি করতে পারবেন। সিনেট সভা থেকে শুরু করে ক্লাস পর্যন্ত সব কিছু ইন্টারনেটে লাইভ করা উচিত এবং সেগুলো যেন সহজলভ্য হয়। স্বচ্ছতা বুরোক্রেসির (আমলাতান্ত্রিকতা) ওষুধ। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা গেলে যোগ্যরা তাদের সম্মান পাবেন এবং অযোগ্যরা নিজ দায়িত্ব থেকে সরে যাবেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনের ফোকলোর গ্যালারিতে শুক্রবার অনুষ্ঠিত একক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি। ‘বাজার বন্দুক ব্যুরোক্রেসি, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কার ও স্বাধীনতা’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে গণতান্ত্রিক শিক্ষার্থী সংহতি।

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সিনেট, সিন্ডিকেট ও শিক্ষক রাজনীতির সমালোচনা ও সংস্কারের আহ্বান জানান সেলিম রেজা নিউটন। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি রাষ্ট্রের মতো। এখানে উপাচার্য রাষ্ট্রপতির মতো ও সিনেট সংসদের মতো কাজ করে। ফলে এখানেও স্বৈরাচার ও একনায়কতন্ত্র দেখা যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে একক উপাচার্য থাকলে বিপদ হতে পারে। এর পরিবর্তে একটা প্যানেল উপাচার্য গঠন করা যায়, যেখানে তিন বা পাঁচজনের একটা প্যানেল সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদে উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবে। প্যানেল পরপর তিনটি সভায় যে কোনো বিষয়ে একমতে আসতে না পারলে তাদের দায়িত্ব ছেড়ে দেবে। তাহলেই উপাচার্য পদের একক ক্ষমতা কমে যাবে। একইভাবে সিনেট ও সিন্ডিকেট গঠন করতে হবে। এমন হলে শিক্ষক রাজনীতি অকেজো হয়ে পড়বে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) বিষয়ে তিনি বলেন, আমি চলমান ডাকসু ও রাকসু পদ্ধতির বিরুদ্ধের মানুষ। প্রচলিত পদ্ধতিতে দু’জন নেতা থাকে, তাদের পক্ষে সব শিক্ষার্থীর চেনা বা তাদের কথা শোনা সম্ভব না। এ পদ্ধতির সংস্কার করতে হবে। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। 

যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস - dainik shiksha যারা আপনাদের সেবা করবে তাদের ভোট দেবেন: সারজিস মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক - dainik shiksha মাদরাসায় অনুপস্থিত থেকেও ১১ মাসের বেতন তুলেছেন শিক্ষক এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি - dainik shiksha এখনো প্রস্তুত হয়নি একাদশের, পাঁচ বইয়ের পাণ্ডুলিপি কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! - dainik shiksha সেই অভিযুক্ত রেবেকাই এবার মাউশি ঢাকার ডিডি! ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক - dainik shiksha ৬৬ জন ছাত্রকে পাঁচচুলো করলেন শিক্ষক শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ - dainik shiksha শিক্ষার মানোন্নয়নে সরকারের নতুন পদক্ষেপ প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি - dainik shiksha প্রশ্নফাঁসের তদন্ত নিয়ে সিআইডি ও পিএসসি মুখোমুখি দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0060408115386963