বেসরকারি শিক্ষক মনোনয়নে নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার বিস্তর অভিযোগ পাওয়া গেছে। মহিলা কোটায় পুরুষকে মননোয়ন দেয়া হয়েছে । সহকারী শিক্ষক পদে নিবন্ধনধারী আবেদন করলেও তাকে প্রভাষক পদে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। আর এর ফলে মনোনীতরা দ্বিধা-দ্বন্দের মধ্যে পড়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, নাটোরের লালপুর উপজেলার লালপুর শ্রী সুন্দরী পাইলট হাই স্কুলে মো. আশরাফুল হক এবং মোসা. দিলারা খাতুন নামে দুই নিবন্ধনধারী প্রার্থীকে প্রভাষক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, মোসা. দিলারা খাতুন নবম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নিবন্ধনধারী হিসেবে সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) পদের জন্য আবেদন করেন। যার রোল নম্বর ৩১৩২২৫৫৭।কিন্তু তাকে ওই স্কুলে প্রভাষক (কম্পিউটার অপারেশন) হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। অভিযোগ হল তিনি প্রভাষক পদে কোন আবেদন করেননি। এমনকি তার রোল নম্বরের ধারে কাছেও কোন প্রভাষক পদের নিবন্ধনধারীর রোল নম্বর নেই। তাছাড়া প্রভাষক পদে রোল নম্বর ৪০ সিরিয়াল থেকে শুরু আর সহকারী শিক্ষক ৩০ থেকে শুরু। তবে কীভাবে তাকে প্রভাষক হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হল?
একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন একই স্কুলে প্রভাষক (ইংরেজি) মো. আশরাফুল হক। আশরাফুল সপ্তম নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং সহকারী শিক্ষক পদে আবেদন করেন। তার রোল নম্বর ৩০২০৬৫২৪। কিন্তু তালিকায় তাকেও ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।
এ অবস্থায় তারা পড়েছেন মহা বিপাকে। এখন তারা কী প্রভাষক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত?
কিন্তু স্কুলেই বা সেটা আবার হয় কীভাবে? আর তারা যদি প্রভাষকই হন সেটা কোন কলেজের এ প্রশ্নেরই কোন কূল-কিনারা পাচ্ছেন না তারা। আবার অন্যদিকে বহু কাক্ষিত এ নিয়োগ পাওয়ার পর সৃষ্ট এই জটিলতার কারণে তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া আবার আটকে যায় কিনা সে সংশয়ও দেখা দিয়েছে তাদের ভেতর।
দৈনিকশিক্ষারডটকমের ইমেইলে পাঠানো অভিযোগে অপর এক নিবন্ধনধারী জানান, তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ১১ তম নিবন্ধনধারী। তিনি এলাকায় ওছখালী এস.টি গালর্স হাই স্কুলের মহিলা কৌটায় প্রার্থী। রোল নং- 31435457, রেজিঃ 201411037808, আইডি নং-A107426QVL কিন্তু তার বিপরীতে ঐ প্রতিষ্ঠানে পুরুষ দুই জনকে একই পোষ্টে নিয়োগ দেওয়া হয়। একজনের নাম- মোঃ আতিকুর রহমান, ব্যাচ নং-9, রোল নং-31413005 এবং অপরজন মোঃ আকতার হোসেন, ব্যাচ নং-10, রোল নং- 31439469 েএই দুই জনকে নিয়োগের জন্য মনোনয়ন করেন। মহিলা কোটা থাকা সত্ত্বেও কিভাবে এই দুই জনকে একই পোষ্টে নিয়োগ দেওয়া হবে?
এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলা চেষ্টা করেও নিবন্ধ অফিসের কাউকে পাওয়া যায়নি।