ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে ‘মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই’ দাবি নিয়ে উপাচার্য বাসভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্যার এ এফ রহমান হলের দ্বিতীয় বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী।
গত বুধবার রাত দেড়টার দিকে অবস্থান শুরু করেন তারা। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের আশ্বাসে হলে ফিরে যান তারা। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও হল সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা স্যার এ এফ রহমান হলের ১১১ নম্বর কক্ষে থাকেন। স্বাভাবিকভাবে কক্ষটিতে সর্বোচ্চ আটজন থাকতে পারলেও এটি ‘গণরুম’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেখানে ৩৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী থাকেন। হলের এমন কক্ষগুলো ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কক্ষটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানের অনুসীরাদের নিয়ন্ত্রণাধীন। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের বিনিময়ে শিক্ষার্থীরা এসব কক্ষে থাকার সুযোগ পান।
নাম প্রকাশ না করে আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী জানান, তারা নিয়মিত ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে অংশ নিলেও হলে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। তারা ছাত্রলীগের বড় ভাইদের (জ্যেষ্ঠ নেতা) কাছে রুমের দাবি জানালে একজনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘দাবি মোদের একটাই, মাথা গোঁজার ঠাঁই চাই’, ‘থাকার জন্য জায়গা চাই, ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। রাত আড়াইটার দিকে ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান উপস্থিত হন। জানতে চাইলে ওয়ালি আসিফ ইনান বলেন, আমি ওদের বুঝিয়ে রাতে যাতে রাস্তায় কষ্ট করতে না হয় সেজন্য হলে যাওয়ার ব্যবস্থা করেছি। ওরা হাসিমুখে সবাই হলে ফিরে গেছে।
স্যার এফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান আবাসন সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, এটি কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।