মনিপুর হাইস্কুলের অধ্যক্ষ পদে ফরহাদ হোসেনের থাকার আর আইনগত কোন সুযোগ নেই। তথ্য গোপন করে এবং ভুল তথ্য উপস্থাপন করে আদালত থেকে ওই পদে তার দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার আদেশ পেয়েছিলেন ফরহাদ গত মাসে। কিন্তু আসল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে গত সপ্তাহে। আসল তথ্য দেখে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম গতকাল রোববার এই আদেশ দেন।
এই আদেশের ফলে মনিপুর হাইস্কুলের অধ্যক্ষ পদে ফরহাদ হোসেনের আর দায়িত্ব পালনের আইনগত কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সিদ্দিকুর রহমান খান। তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হয়ে গেছে। ফলে উনি আর অধ্যক্ষের চেয়ারে বসতে পারবেন না।
বিধি না মেনে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ দেয়া হয় ফরহাদ হোসেনকে। সম্প্রতি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের এক তদন্তে বিষয়টি প্রমাণিত হয়। তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়, ২০২৩ সালের জুন মাস পর্যন্ত ফরহাদ হোসেনর চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। যা বিধি অনুযায়ী হয়নি।
এই তদন্তের আলোকে বিধি অনুযায়ী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালকের কাছে চিঠি দেয় ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। মাউশি যখন এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে তখনই হাইকোর্টে গিয়ে রিট মামলা দায়ের করে। ভুল তথ্য উপস্থাপন করে। আদালত সেই চিঠির কার্যকরিতা ৬ মাসের জন্য স্থগিত করে দেয়। পরে গতকাল হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এ বিষয়ে গতকাল ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা বলেন, এখন মাউশি অধিদপ্তর ওই কলেজে নতুন কাউকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ দিতে পারবে।
আর মাউশি অধিদপ্তরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা মনিপুর স্কুলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে ইচ্ছাকৃত দেরি করে। এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন কাউকে দায়িত্ব না দিলে শিক্ষা অধিদপ্তরের সামনে লাগাতার অবস্থান নেবেন মনিপুর স্কুলেরর হাজার হাজার অভিভাবক।