মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে কলেজ সড়কে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড় সরানোর দাবিতে অবস্থান-সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষার্থীরা ভাগাড় সড়ানোর দাবিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে মিছিল নিয়ে শহরে আসে। পরে চৌমুহনা চত্বরে অবস্থান নিয়ে তারা সমাবেশ করে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মৌলভীবাজার জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য, কলামিস্ট সৈয়দ আমিরুজ্জামান। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্র নূরুল আমিন, দ্বাদশ শ্রেণির উম্মে নাফিসা মায়মুনা, দীপ্ত পাল, শাহেদ রানা ও আজহারুল ইসলাম ফাহিম।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ময়লার ভাগাড়ের দক্ষিণপূর্ব দিকে রয়েছে শ্রীমঙ্গল সরকারি কলেজ ও দ্য বার্ডস রেসিডেনশিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। আর পশ্চিমে রয়েছে গাউছিয়া শফিকিয়া সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা, রয়েছে মসজিদও। এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রয়েছে প্রায় কয়েক সহস্র শিক্ষার্থী। প্রতিদিন শহরের ৯টি ওয়ার্ড ছাড়াও মাছ ও কাঁচাবাজারের ময়লা-আবর্জনা এনে ফেলা হচ্ছে ভাগাড়ে। এসব আবর্জনা পচে ভাগাড় থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে শুধু ওই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষক, অভিভাবক ও এলাকাবাসীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধে পাঠদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় নাক চেপে ধরে ভাগাড় পার হতে হয় পথচারীদের। আগুনে পোড়ানো ময়লা থেকে উড়ছে কালো ধোঁয়া। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র মহসীন মিয়া মধু বলেন, এই ভাগাড়টি সরিয়ে নিতে ২০১৭ সালে পৌরসভা থেকে সদর ইউনিয়নের জেটি রোডে ২.৪৩ একর জমি কেনা হয়েছিল। নতুন ভাগাড়ের জন্য জমিতে সীমানা প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু মামলা হওয়ায় সেটা বন্ধ আছে।