শারদীয় দুর্গাপূজার মহাসপ্তমীতে মন্দির-মণ্ডপগুলো ভক্ত ও অনুসারীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে। মহাসপ্তমীতে শনিবার নানা আচারে দেবী ষোড়শ উপাচারে পূজিত হন।
আজ রোববার মহাঅষ্টমী। এদিন রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৬টা ১০ মিনিটে মহাঅষ্টমী পূজা শুরু হবে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে পুষ্পাঞ্জলি। বেলা ১১টায় কুমারী পূজা। রাত ৮টা ৬ মিনিটে সন্ধিপূজা শুরু হবে। রাত ৮টা ৫৪ মিনিটে পূজা শেষ হবে।
মহাসপ্তমীতে দেবী ষোড়শ উপাচারে পূজা পান। এদিন ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান, নবপত্রিকা প্রবেশ, সপ্ত্যাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমী বিহিতপূজা হয়।
চক্ষুদানের পর বিশেষ রীতি মেনে দেবী দুর্গাকে স্নান করানো হয়। সঙ্গে তার সঙ্গীরাও বস্ত্র, নৈবেদ্য, ফুল, চন্দন, ধূপ-দীপে পূজিত হন। মহাসপ্তমীর বিষয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের প্রধান পুরোহিত প্রণব চক্রবর্তী বলেন, এ দিনে দেবী দুর্গার সবচেয়ে ভয়ানক রূপ অর্থাৎ কালরাত্রি রূপের পূজা করা হয়।
এর ফলে অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন দেবী দুর্গা। অশুভের বিনাশ ঘটিয়ে অসুরবিনাশী দেবী দুর্গা পৃথিবীতে শুভশক্তির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
শনিবার রাজধানীর পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা দিতে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। মণ্ডপে মণ্ডপে সারা দিন বেজেছে ঢাক, ছিল উলুধ্বনি। দেশ জাতি ও মানবজাতির শান্তি কামনায় প্রার্থনায় নিমগ্ন ছিলেন দেবী দুর্গার ভক্তকুল।
দেশের মণ্ডপে মণ্ডপে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার নিন্দা জানিয়েছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। ফিলিস্তিনিদের জন্য ভক্তরাও কায়মনে দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছেন।