করোনা মহামারির পর আরেক উদ্বেগের নাম এখন এমপক্স (মাঙ্কিপক্স)। সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে এর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে কয়েক শ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে। পাকিস্তানেও শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী জরুরি অবস্থাও জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও)।
এবার এই এমপক্স নিয়ে সতর্কতা দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে অধিদপ্তর বলছে, এমপক্স মাঙ্কিপক্স ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট একটি সংক্রামক রোগ। এতে বেদনাদায়ক ফুসকুড়ি, লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া এবং জ্বর হতে পারে।
শরীরে এসব লক্ষণ দেখা দিলে অথবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা সংক্রমিত দেশ ভ্রমণের ২১ দিনের মধ্যে এসব লক্ষণ দেখা দিলে ১৬২৬৩ ও ১০৬৫৫ নম্বরে যোগাযোগ করতে বলেছে অধিদপ্তর।
এমপক্স কী?
এমপক্সের ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছিল একটি বানরের শরীরে। এ কারণেই এটি ‘মাঙ্কিপক্স’ নামে পরিচিতি পায়। ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে আফ্রিকার একটি দেশে মানবদেহে প্রথম এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর আফ্রিকার কয়েকটি দেশে বিক্ষিপ্তভাবে এর সংক্রমণ ঘটতে দেখা যায়। তবে কেবল বানর নয়, ইঁদুরও এই ভাইরাসের বাহক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। শুরুতে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত এ ভাইরাসের নাম পরিবর্তন করে এমপক্স রাখা হয়েছে। প্রাণীর প্রতি বিদ্বেষমূলক দৃষ্টিভঙ্গি ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে নাম পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয় ডব্লিউএইচও।
এমপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়ায়। আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে।