চলতি বছর মাদরাসার ছুটি কেনো ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৭১ দিন করার প্রস্তাব করা হয়েছে তা জানতে চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। চলতি জানুয়ারি মাসের শুরুতে স্কুল-কলেজ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির সঙ্গে সামঞ্জস্য এনে দেশের মাদরাসাগুলোর ছুটি ৭১ দিন করার প্রস্তাব করেছিলো মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। ওই প্রস্তাব কেনো অধিদপ্তর থেকে মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়েছে সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে চিঠি অধিদপ্তরে পৌঁছেছে বলে দৈনিক আমাদের বার্তাকে নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র।
তবে অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, শিগগিরই তারা কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের এ প্রশ্নের জবাব অনুষ্ঠানিকভাবে পাঠাবেন। তারা আশা করছেন, এ জবাব পেলে ছুটি বাড়িয়ে সংশোধিত শিক্ষাপঞ্জি করা করা হবে।
জানা গেছে, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসার ছুটি ৬০ দিন নির্ধারণ করে শিক্ষাপঞ্জি জারি করা হয়েছিলো। তবে এ শিক্ষাবর্ষে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৭৬ দিন ও কলেজে ছুটি থাকবে ৭১ দিন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটি ৬০ দিন নির্ধারণ করে শিক্ষাপঞ্জি জারি করা হলেও শিক্ষকদের আপত্তির মুখে তা বাড়িয়ে ৭৬ দিন করা হয়েছে। তাই মাদরাসার ছুটিও বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছিলো মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহেই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে মাদরাসার ছুটি ৭১ দিন নির্ধারণ করে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছিলো।
সূত্র বলছে, মাদরাসা ছুটি ৬০ দিন নির্ধারণ করে যে শিক্ষাপঞ্জি জারি করা হয়েছিলো তা অধিদপ্তর থেকেই প্রস্তাব করা হয়েছিলো। এটি নির্ধারণের আগে অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিলো। তারপর ফের তা সংশোধন করে ছুটি কোনো বাড়ানো হবে সে বিষয়ে অধিদপ্তরের কাছে জানতে চেয়েছে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগ। বিভাগের সে প্রশ্নে উত্তর পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে অধিদপ্তর।
জানতে চাইলে অধিদপ্তরের প্রশাসন শাখার উপপরিচালক মো. জাকির হোসাইন দৈনিক আমাদের বার্তাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মাদরাসার ৬০ দিন ছুটি নির্ধারণ করা হয়েছিলো। কিন্তু হাইস্কুলের ছুটি ৭৬ দিন ও কলেজের ৭১ দিন নির্ধারণ করা হয়। আবার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ৬০ দিন নির্ধারণ করে পরিপত্র আকারে তা জারি করেছিলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে শিক্ষকরা আপত্তি তুললে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি ৭৬ দিন বাড়িয়ে সংশোধিত শিক্ষাপঞ্জি জারি করা হয়েছে। এদিকে মাদরাসার ছুটি ৬০ দিন নির্ধারণ করায় এ প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষকরাও তা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন। এ পরিস্থিতিতে সার্বিক বিবেচনায় ছুটি বাড়িয়ে ৭১ দিন করা প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানোর এসব কারণ আমরা শিগগিরই লিখিত আকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে পাঠাবো। আমাদের আশা এ জবাবে বিভাগ সন্তুষ্ট হবে। আশা করছি, এ বিষয়ে সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা পেয়ে বিভাগ থেকে প্রস্তাবনা অনুযায়ী মাদরাসাগুলোর ছুটি ৭১ দিন নির্ধারণ করবে।
দৈনিক আমাদের বার্তার ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।