দৈনিক শিক্ষাডটকম ঝিনাইদহ : ‘এই ময়লার পাশ দিয়ে মাদরাসায় যেতে-আসতে খুব কষ্ট হয়, ভীষণ দুর্গন্ধ।’ নাম জিজ্ঞাসা করতেই একই সঙ্গে বলল—‘সাদিক, ক্লাস ফোরে পড়ি।’ নবম শ্রেণির ছাত্রী মারুফা বলে, ‘এই ময়লা-আবর্জনার কারণে আমরা ক্লাসের ভেতরেও দুর্গন্ধ পাই, তার পরও অনেক কষ্ট করে আমাদের ক্লাস করতে হয়।’
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভা কর্তৃপক্ষ শহরের ময়লা-আবর্জনা বাহাজ্জেল হোসেন মহিলা দাখিল মাদরাসার সামনে কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ফেলে আসছে;।
এই আবর্জনার পাশ দিয়ে যেতে দুর্গন্ধে পথচারী ও শিক্ষার্থীদের নাকে কাপড় দিতে হয়। মাদরাসার সুপার ইসমাইল হোসেন জানান, আগে মাদরাসার সামনের অংশ বাদ রেখে পৌর শহরের এই ময়লা-আবর্জনা ফেলা হতো। সেখানে নিচু জায়গার মাটি ভরাট করে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এখন মাদরাসার সামনেই ফেলা হচ্ছে। এই মাদরাসায় শিশু শ্রেণি থেকে দাখিল পর্যন্ত আড়াই শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে।
(শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মেয়ে-ছেলে উভয়কে ভর্তি নেওয়া হয়।) তিনি আরো বলেন, ‘পৌর কর্তৃপক্ষকে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ সরিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে নিয়ে ভালো পরিবেশ তৈরির জন্য বারবার বলা হলেও কোনো ফল পাইনি। বরং এখানেই ফেলা হচ্ছে পৌর শহরের বর্জ্য। যে কারণে বাধ্য হয়ে দুর্গন্ধের মধ্যেও মাদরাসার ক্লাস চালিয়ে যেতে হচ্ছে।
কোটচাঁদপুর পৌর মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘রাস্তার পাশে নিচু জায়গায় পানি জমে থাকে। যে কারণে জায়গাটা সমান করার জন্য ওখানেই ময়লা ফেলা হতো। মাদরাসাটির সমস্যা হওয়ার কারণে এখন আর ফেলা হচ্ছে না। তবে এসব আবর্জনা ফেলার পৌরসভার জায়গা নেই। যে কারণে আমিও বিপদে আছি।
যদি সরকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা করত তাহলে পৌরবাসী উপকৃত হতো।’
সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঝিনাইদ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, ‘এ বিষয়ে কোটচাঁদপুর পৌর কর্তৃপক্ষকে মৌখিকভাবে বারবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। তবে এবার লিখিতভাবে বলা হবে।’