মাদরাসা থেকে বৃত্তি পেয়ে সাধারণ ধারায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির নির্দেশ - দৈনিকশিক্ষা

মাদরাসা থেকে বৃত্তি পেয়ে সাধারণ ধারায় ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রির নির্দেশ

দৈনিকশিক্ষা প্রতিবেদক |

বিভিন্ন মাদরাসা থেকে বৃত্তি পেয়ে সাধারণ ধারার সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বকেয়াসহ বৃত্তির টাকা দিতে তথ্য এন্ট্রির নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। আগামী ১০ জুলাই থেকে এসব শিক্ষার্থীর তথ্য এন্ট্রি অর্থ মন্ত্রণালয়ের এসপিএফএমএস কর্মসূচির এমআইএস সফটওয়্যারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত তথ্য এন্ট্রির সুযোগ পাবেন প্রতিষ্ঠান প্রধান ও দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। অধিদপ্তর থেকে বিষয়টি জানিয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার তা প্রকাশ করা হয়।

জানা গেছে, নির্ধারিত লিংকে (http://scholarship.dshe.gov.bd/DSHE-MIS/login) লগইন করে ১০ জুলাই থেকে ২০ জুলাইয়ের মধ্যে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তি পেয়ে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্কুল-কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ২০২৩-২৪ অর্থবছর পর্যন্ত বকেয়াসহ বৃত্তির তথ্য এন্ট্রি করতে হবে প্রতিষ্ঠান প্রধানদের।

বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য এন্ট্রি নিয়ে বেশ কয়েকদফা নির্দেশনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, অনলাইন সুবিধাসম্পন্ন তফসিলভুক্ত যেকোনো ব্যাংকে শিক্ষার্থীর নিজ নামে অথবা ১৮ বছরের কম শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের সঙ্গে যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব কিংবা স্কুল ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। যৌথ নামে ব্যাংক হিসাব, স্কুল ব্যাংক হিসাব খোলা হলে এমআইএসে শিক্ষার্থীর এন্ট্রি করা হিসাবধারীর নামের স্থলে প্রথমে শিক্ষার্থীর নাম, এরপর অ্যান্ড (and) লিখে শেষে দ্বিতীয় হিসাবধারীর নাম ইংরেজিতে এন্ট্রি করতে হবে। শিক্ষার্থীর নাম ও অনলাইন ব্যাংক হিসাবের নাম অভিন্ন হতে হবে। বৃত্তির গেজেটে শিক্ষার্থীর নামের বানান, এমআইএস সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানান এবং হিসাবধারীর নামের বানান অভিন্ন হবে। বৃত্তির গেজেটে নামের বানানে হাইফেন (-) থাকলে সফটওয়্যারে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেন দিতে হবে। কিন্তু হিসাবধারীর নামের স্থলে শিক্ষার্থীর নামের বানানে হাইফেনের স্থলে সিংগেল স্পেস দিতে হবে।

অধিদপ্তর আরো বলছে, নলাইন ব্যাংক হিসাব নম্বর অবশ্যই ১৩-১৭ ডিজিটের মধ্যে হতে হবে এবং সঠিক ও নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংকের নাম, শাখার নাম, রাউটিং নম্বর এবং শিক্ষার্থীর ব্যাংক হিসাব নম্বর সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। ব্যাংক হিসাবটি বর্তমানে সচল (Active) থাকতে হবে। শুধুমাত্র সাধারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল-ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য সাধারণ প্রতিষ্ঠান) অধ্যয়নরত মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তথ্য ওই প্রতিষ্ঠান থেকে সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে হবে।

অধিদপ্তর বলছে, শিক্ষার্থীদের তথ্য এমআইএস সফটওয়্যারে যথাযথভাবে এন্ট্রি হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই দুইজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিতে হবে। তথ্যা এন্ট্রির ক্ষেত্রে ভুল বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে প্রতিষ্ঠান প্রধান-দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দায়ী থাকবেন। 

শিক্ষার সব খবর সবার আগে জানতে দৈনিক শিক্ষার ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন। ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন। বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।

দৈনিক শিক্ষাডটকমের ইউটিউব চ্যানেল  SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।

শিক্ষকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha শিক্ষকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন শিক্ষা উপদেষ্টা বেতন ও বিবেকের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষকরা - dainik shiksha বেতন ও বিবেকের স্বাধীনতায় পিছিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষকরা জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের ১০ দাবি - dainik shiksha জাতীয়করণসহ শিক্ষকদের ১০ দাবি দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা: ফখরুল - dainik shiksha দেশের সবচেয়ে দুর্বল জায়গা শিক্ষাব্যবস্থা: ফখরুল কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন বিধিমালা বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন দাবি - dainik shiksha কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন বিধিমালা বাতিল করে নতুন প্রজ্ঞাপন দাবি তরুণ প্রজন্ম অপরাজনীতিতে লিপ্ত: শিক্ষা উপদেষ্টা - dainik shiksha তরুণ প্রজন্ম অপরাজনীতিতে লিপ্ত: শিক্ষা উপদেষ্টা কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা: একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0064539909362793