মাধবপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে জনবল সংকট এখন তীব্র। ১২টি পদের মধ্যে সাতটি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকেও বদলি করা হয়েছে। সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার ছয়টি পদের মধ্যে চারটিই শূন্য। দুই জন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ১৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যবেক্ষণ করছেন। নেই উচ্চমান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক, অফিস সহকারী দুইটি পদের মধ্যে একটি শূন্য, অনেক সময় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকে দিয়ে অফিসের কাজ করানো হচ্ছে। নেই কোনো অফিস সহায়ক। বিভিন্ন বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী কাম অফিস সহায়করা পর্যাক্রমে ১০ দিন করে উপজেলা শিক্ষা অফিসে কাজ করছেন। এতে ব্যাহত হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম ।
অপরদিকে ১৪৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৬৩ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য রয়েছে। কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় অধিক শিক্ষক রয়েছেন। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর তুলনায় শিক্ষক স্বল্পতা রয়েছে। কমলপুর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিক মোল্লা জানান, তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৭২, শিক্ষক রয়েছেন ১০ জন। এখানে নতুন ভবনের প্রয়োজন। আই বি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু তাহের জানান, তার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ৬৮৯ জন, শিক্ষক রয়েছেন ১২ জন । এখানে আরো শিক্ষক প্রয়োজন। সদ্য বিদায়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিক্ষা অফিসে জনবল সংকট সম্পর্কে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে প্রতি মাসেই জানানো হচ্ছে। ৬৩ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক না থাকার কারণ হচ্ছে মামলা জটিলতা শিক্ষকগণের প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল, দেওয়ানি আদালত ও হাইকোর্টে ৯টি মামলা রয়েছে। এ মামলাগুলো নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সম্প্রতি দুই দিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মৌলার উপস্থিতিতে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গণশুনানি করেও কোনো ফল হয়নি। আবার প্রধান শিক্ষক নিয়েগের ক্ষেত্রে ৩৫ ভাগ সরাসরি এবং ৬৫ ভাগ পদোন্নতি পাওয়ার নিয়মও রয়েছে। উপজেলা শিক্ষা কমিটির মাধ্যমে শিক্ষক সমন্বয়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে তিনি জানান ।