আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন দাবিতে আজ মঙ্গলবার থেকে ফের কর্মবিরতি শুরু করছে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। টানা তিন দিন সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করবেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে আগেই ঘোষণা দেয়া ছিলো।
এই কর্মসূচির ফলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রশাসন কার্যত অচল হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে থাকায় তারা কর্মবিরতি পালন করলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রশাসনে স্বাভাবিক কাজ চালু রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী ও মহাসচিব মো. শওকত হোসেন মোল্যা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ন্যায্য দাবিতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে। গত ৫ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দাবিসমূহ তুলে ধরা হয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর মাউশিতে অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে অবস্থান সুস্পষ্ট করেছে। এরপরেও দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় ৩০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ২ অক্টোবর কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছিলো, যা সফলভাবে পালিত হয়েছে। তারা আশা করেছিলেন, কর্তৃপক্ষ সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং শিক্ষা ক্যাডারের ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ করবেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
আরও পড়ুন: ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের ৩টি ও মাস্টার্সের ১টি পরীক্ষা স্থগিত
এ কারণে সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিনদিনের কর্মবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশের সকল সরকারি কলেজ, সরকারি আলীয়া মাদরাসা, সরকারি টিটি কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর, সকল শিক্ষা বোর্ড, এনসিটিবি, নায়েম, ব্যানবেইসসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা সর্বাত্মক কর্মাবরতি পালন করবেন। ক্লাস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীন ভর্তি, ফরম পূরণ, সকল ধরনের পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, এবং দাপ্তরিক সকল কর্মকাণ্ড কর্মবিরতির আওতায় থাকবে।
শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান এবং আনুপাতিক হারে প্রথম ও দ্বিতীয় গ্রেডসহ প্রয়োজনীয় পদসৃজন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন দপ্তর-অধিদপ্তরের জন্য বিসিএস সাধারণ শিক্ষা কম্পোজিশন অ্যান্ড ক্যাডার রুলস-১৯৮০ পরিপন্থী সকল নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার, জেলা-উপজেলায় শিক্ষা ক্যাডার পরিচালিত শিক্ষা প্রশাসন সৃষ্টি ও চাকরির ৫ বছর পূর্তিতে ষষ্ঠ গ্রেড প্রদান।