‘কিছু মানুষ তার কাজের মধ্য দিয়ে অমরত্ব লাভ করে। আমিও জীবনভর সে চেষ্টাই করেছি। মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি, এখনো করছি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত আওয়ামী লীগের একজন বিশ্বস্ত সৈনিক।’
এভাবেই নিজের সম্পর্কে বলছিলেন টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসন থেকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী রাজনীতিবীদ, সমাজসেবক, আলোক হেলথ কেয়ার অ্যান্ড ফাউন্ডেশন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ঘাটাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. লোকমান হোসেন।
মো. লোকমান হোসেন ঘাটাইল উপজেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন অনেক বছর ধরে। তার এলাকা ও এলাকার মানুয়ের জন্য ত্যাগ কম নয়। সাধারণ মানুষকে একটু উপকার করতে পারলেই তিনি নিজেকে ধন্য মনে করেন।
ছোটবেলা থেকে নানারকম কাজ ও লেখাপড়ায় মেধার স্বাক্ষর রেখেছেন লোকমান হোসেন। তবে, নানা প্রতিকূলতায় একাডেমিক লেখাপড়ায় ঠিক তেমন সফল্য পাননি তিনি। সেশনজটের সমস্যা এবং রাজনৈতিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়ার কারণে মেধা অনুযায়ী নিজেকে সাজাতে পারেননি বলেও জানান তিনি।
দেশ স্বাধীন হওয়ার ঠিক পরের বছর ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারিতে ঘাটাইলের রসুলপুর গরজোনা গ্রামের কৃষক আক্কেল আলী সরকার ও নজোমন নেসা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন মো. লোকমান হোসেন। ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে মধুপুর শহীদ স্মৃতি হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে ঘাটাইলের জিবিজি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন তিনি।
১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে মহাখালী ইন্সটিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি থেকে ফার্মাসিস্ট এবং ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে তেজগাঁও কলেজ থেকে বিএ পাস করেন তিনি।
দৈনিক আমাদের বার্তার সঙ্গে আলাপকালে এ আওয়ামী লীগ নেতা মো. লোকমান হোসেন তার জীবন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, দেশ ও দেশের মানুষ নানা ভাবনার কথা জানান। যেহেতু ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির প্রতি অন্যরকম একটা টান, তাই রাজনীতি বিষয়ে ভর্তিও হন দেশের একটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
লোকমান হোসন ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি পাসের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তি হন। উদ্দেশ যখন রাজনীতি আর দেশ সেবা করা। কিন্তু এখানেও বাধা। তখন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স সম্পন্ন করতে সময় লাগতো দীর্ঘ। তিনি বলেন, সে সময়ে সেশনজটের কারণে জ্যেষ্ঠদের বিড়ম্বনা দেখে আমারও মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছিলো। অন্যদিকে, রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় আন্দোলন ও মিছিলে জড়িয়ে পড়ি। এ অবস্থায় সেখানে আর পড়ালেখা শেষ করতে পারিনি।
লোকমান হোসেন মনে করেন, সমাজে অনেক মত-মতাদর্শের মানুষ থাকবেন এটাই স্বাভাবিক। একেক জন একেক দলের রাজনীতি করবেন এটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। ‘ভালো কাজ করে দলমত নির্বিশেষে মানুষের উপকার করাই আমার বড় কাজ বলে মনে করি,’ যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্য সেবায় মো. লোকমান হোসেন একজন নিবেদিত প্রাণ। ঘাটাইল উপজেলার মানুষ যাতে সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন সেজন্য তিনি অনেক কাজ হাতে নিয়ে থাকেন। উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে তিনি ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্পের মাধ্যমে গরিব-দুঃখীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় এবং জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে একজন যোগ্য প্রার্থী হিসেবে এ এলাকায় নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন লোকমান হোসেন।