গত ২৩ মে মার্কিন নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর থেকে চিন্তায় শিক্ষার্থীরা। করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে ছাত্রভিসা পাওয়ার হার ক্রমশ বাড়তে থাকলেও হঠাৎ করে তা কমে গেছে বলে জানিয়েছেন ভিসা প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলো। এ অবস্থায় যোগ্য শিক্ষার্থীরা যাতে নির্বিঘ্নে ভিসা পায় সেজন্য পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা।
আমেরিকায় উচ্চশিক্ষা নিতে প্রতি বছরই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ভিসার জন্য আবেদন করেন। গত কয়েক বছর ধরে ভিসা পাওয়ার হার ছিল সন্তোষজনক।
চলতি বছরের মে মাস থেকে নতুন ভিসা নীতি কার্যকর করছে। এ ঘোষণার পর চিন্তায় পড়েন উচ্চশিক্ষা নিতে ইচ্ছুক অনেক শিক্ষার্থী।
ভিসার আবেদন বাতিল হওয়া এক শিক্ষার্থী জানান, আমি একবার ভিসা রিজেক্ট হয়েছি। আবার আবেদন করেছি। এই ভিসা নীতি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে এ বছরের মে মাস পরবর্তী তথ্য নেই। তার আগের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালে মার্কিন ছাত্রভিসা ইস্যু হয়েছে প্রায় ১০ হাজার। গত বছরের মে মাস পর্যন্ত ২ হাজার ৫২২ জন শিক্ষার্থী ভিসা পেলেও এবছরের একই সময়ে পেয়েছেন ২ হাজার ৬৬ শিক্ষার্থী। আর মে মাসের পর থেকে ভিসা অনুমোদন হার কমে গেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
প্যাক এশিয়া চীফ কনসালটেন্ট প্রদীপ কে রয় বলেন, গত বছরের থেকে এই বছর ভিসা অনেক কম দিচ্ছে। এই অবস্থায় সেপ্টেম্বর নতুন সেমিস্টার শুরু হচ্ছে। সামনে কি হবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
নলেজ হাবের সিইও আরিফ সৈয়দ বলেন, অনেক শিক্ষার্থীরই স্বপ্ন থাকে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা নেয়ার। এই অবস্থায় যদি ভিসা নীতির কারণে সেই স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় তবে তা হবে খুবই দুঃখজনক। এই সমস্যা সমাধানে সরকারকে এগিয়ে আসা দরকার।
এই ভিসানীতির কারণে কোনো শিক্ষার্থী না ভিসা পেলে সেটি হবে হতাশাজনক। তাই সরকারকে এ বিষয়ে আলোচনা করতে হবে।
তবে সরকার বলছে, এই ভিসা নীতি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চিন্তার কিছু নেই।