আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, পুরো বাঙালি জাতিকে বঙ্গবন্ধু এক মোহনায় নিয়ে এসেছিলেন। একাত্তরে পাকিস্তানের পক্ষে সপ্তম নৌবহর পাঠানোর পরেও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পরাজয় কিসিঞ্জাররা মেনে নিতে পারেনি। তাই স্বাধীনতা বিরোধী ও পাকিস্তানি এজেন্টদের দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। একটি সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করেছিলো।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ২১ আগস্ট হামলার পরিকল্পনাকারী হলো খালেদা জিয়া আর তার ছেলে তারেক রহমান। হাওয়া ভবনে বসে তারা সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ করেছিলো। তারা আবারও দেশকে অস্থির করার পরিকল্পনা করছে। গত পাঁচ দিন আগে ছয় ছাত্রদল নেতা অস্ত্রসহ আটক হলো সেটা তারই প্রমাণ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। তারেক জিয়াকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, সে রাজনীতি করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে পালিয়েছিলো। সে এখন বিদেশে বসে সাফাই গান। এতোই যখন সাহস তখন কেনো মুচলেকা দিয়ে চলে গিয়েছিলেন? এত ভয় কেনো দেশে আসতে। দেশে আইনের শাসন আছে, দেশে এসে বিচারের মুখোমুখি হন। এতো বছর পরে আপনার সাফাই গাওয়ার সময় এসেছে? তাকে বাংলার জনগণ এদেশের রাজনীতিতে আর জায়গা দেবে না।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাজিবুল্লাহর হিরু বলেন, আজকে যারা আমাদেরকে মানবাধিকারের ছবক দিতে আসে তাদের কাছে আমার প্রশ্ন এদেশে যে ৭১ খ্রিষ্টাব্দে এতো বড় একটি গণহত্যা হলো তখন তাদের মানবাধিকার কোথায় গেলো। পচাত্তরে শিশু রাসেলসহ বঙ্গবন্ধুকে সহপরিবারে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে তাদেরকেই তোমরা আশ্রয় দিয়েছো। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যে নেতৃত্ব দিয়েছে তাকেই আশ্রয় দিয়েছো। এটাতো তোমাদের মানবাধিকারের, ডাবল স্টার্ন্ডার্ড না? তোমাদের এ দ্বৈত নীতি কেনো।
অনুষ্ঠানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইব্রাহিম ফরজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম আক্তার হোসাইনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরেো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।