৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর সরাসরি আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে মুরাদনগরে বিভিন্ন কলেজ অধ্যক্ষ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাপাত্তা রয়েছে। ক্লাস নির্দিষ্ট বিষয়ে পাঠদানে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা। শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার সিলেবাস সমাপ্তের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
মুরাদনগর শিক্ষক অফিস সূত্রে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকজন অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষক রয়েছে। কুড়েরপাড় ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ ও কুড়াখাল উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, পীরকাশিমপুর এন আর রাইছাতুন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, বাবুটিপাড়া বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক, আকুবপুর এয়াকুব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা, বাখলনগর উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ও মুরাদনগর নুরুন্নাহার বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত রয়েছেন। এতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে যার জন্য নির্দিষ্ট বিষয়ে ক্লাসের পড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘোষণার প্রায় তিন মাস ধরে যথারীতি চলমান থাকলেও রাজনীতিক শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে যোগদান না করে তারা রয়েছেন আত্মগোপনে। যার ফলে শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষার সিলেবাস সমাপ্তের অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে কলেজ পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এরূপ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
মুরাদনগর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা স্বইচ্ছায় তিন মাসের ছুটিতে আছেন। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।