দৈনিকশিক্ষাডটকম প্রতিবেদক: মেট্রোরেল চলাচলের সময় বাড়ানোর পর যাত্রীর চাপ বেড়েছে। অফিস শুরুর আগে ও অফিস ছুটির পর ট্রেনে তিলধারণের ঠাঁই থাকছে না। দুই ট্রেন চলাচলের মধ্যবর্তী সময় (হেডওয়ে) কমানোর এবং বগি বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। যাত্রী চাহিদা বিবেচনায় প্রতি ১০ মিনিটের বদলে ৭-৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচলের এবং প্রতি ট্রেনে বগির সংখ্যা ছয় থেকে বাড়িয়ে আটটি করার চিন্তা চলছে।
মেট্রোরেল পরিচালনাকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
উত্তরা-মতিঝিল পথে ২০ জানুয়ারি থেকে সাড়ে ১৩ ঘণ্টা মেট্রোরেল চলছে। প্রথম ট্রেন সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং সর্বশেষ ট্রেন ছাড়ছে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে। যাত্রীর চাপও বেড়েছে অনেক। দাবি উঠেছে, দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময় কমানোর এবং বগি বাড়ানোর।
শুক্রবার মেট্রোরেল বন্ধ। ডিএমটিসিএল সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রতিদিন দেড় লাখ থেকে দুই লাখের বেশি যাত্রী মেট্রোরেলে যাতায়াত করছেন। এমআরটি পাস বিক্রিও বেড়ে গেছে। গত পাঁচ দিনে বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪০ হাজার পাস। টিকিট কাটার সময় বাঁচাতে যাত্রীরা এমআরটি পাস কিনছেন।
এর আগে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেছিলেন, পিক আওয়ারে আটটি এবং অফ পিক আওয়ারে ছয়টি ট্রেন চলাচল করছে। একটি করে ট্রেন স্ট্যান্ডবাই থাকছে। পিক আওয়ারে ১০ মিনিট পরপর এবং অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন স্টেশনে আসবে। ট্রেন চলাচলের সাড়ে ১৩ ঘণ্টার মধ্যে বেলা ১১টা ৩১ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সময়কে অফ পিক আওয়ার ধরা হয়েছে।
সূত্র বলেছে, বর্তমানে এমআরটি-৬-এর জন্য ২৪টি ট্রেন প্রস্তুত আছে। এগুলোর মধ্যে ৮টি চলছে, বাকিগুলো ডিপোতে রয়েছে। দুই ট্রেনের মধ্যবর্তী সময় কমাতে হলে অপারেটর লাগবে।
সার্বিক বিষয়ে ডিএমটিসিএলের জেনারেল ম্যানেজার (অপারেশন) মোহাম্মদ ইফতিখার হোসেন বলেন, সময় কমানোর কথা আগেও বলা হয়েছে। ধীরে ধীরে সময় কমিয়ে ৭ থেকে ৮ মিনিট করা হবে।
পরে হয়তো আরও কমবে। এ বিষয়ে প্রতিটি স্টেশনে সমীক্ষা করা হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তা ঠিক করা হবে। তিনি বলেন, ট্রেনে বগি বাড়ানোর চিন্তা তাঁদেরও আছে।
স্টেশনের অবকাঠামো অনুযায়ী একটি ট্রেনে সর্বোচ্চ আটটি বগি থাকতে পারবে। তাই কারিগরি সব দিক ঠিক করে বগি বাড়াতে সময় লাগবে।