মেট্রোরেলে হাফ পাসের দাবিতে আন্দোলনে নামছেন শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন তারা।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় অবস্থান করবেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচি সফল করতে এরই মধ্যে অনলাইন ও অফলাইনে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
দাবি আদায়ে গড়ে ওঠা এ আন্দোলনের আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মুহাম্মদ প্রিন্স। তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন। অনলাইনে এ সংক্রান্ত ইভেন্টে এ পর্যন্ত ১২ হাজার শিক্ষার্থী দাবির পক্ষে সম্মতি দিয়েছেন।
আয়োজকরা জানান, রোববারের অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হলিক্রস কলেজ, সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, সেইন্ট জোসেফ কলেজ, মাইলস্টোন কলেজ, বিএএফ শাহীন কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবেন। এদিনের অবস্থান থেকে দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত তিন দফা দাবি জানানো হয়েছে। এগুলো হলো- মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের হাফ পাস কার্যকর করতে হবে, মেট্রোরেলে অতিরিক্ত ভাড়া কমাতে হবে ও সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা করতে হবে এবং মেট্রোরেলে শিক্ষার্থীদের সহজে যাতায়াত সুবিধার্থে স্টুডেন্ট পাস দিতে হবে।
মুহাম্মদ প্রিন্স জানান, মেট্রোরেল পুরোপুরি চালু হলেও কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস চালু করেনি। শিক্ষার্থীদের প্রতি রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এমনকি প্রতিবেশী দেশ ভারতের গণপরিবহনেও রয়েছে হাফ পাস পদ্ধতি।
অনেক উন্নত দেশেও শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস চালু রয়েছে জানিয়ে প্রিন্স বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন কিংবা নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম, মাল্টার মরিশাসসহ আফ্রিকা-ইউরোপের বহু দেশেই চালু রয়েছে শিক্ষার্থীবান্ধব এ রীতি।
দেশের বাসে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস থাকলেও মেট্রোরেলে এ সুবিধা না থাকায় অনেকটা আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রিন্স।
তিনি বলেন, আমাদের ঐতিহাসিক আইয়ুব খানবিরোধী ১১ দফা আন্দোলনের প্রথম দফার (ঢ) উপধারাই ছিল শিক্ষার্থীদের হাফ পাস নিশ্চিত করার দাবি। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে আমরা বাসে হাফ পাস চালু করতে পারলেও মেট্রোরেলে এখনো চালু হয়নি।